স্তনের আকার শুধুমাত্র একজন মহিলার সৌন্দর্যকে প্রভাবিত করে না কিন্তু এটি তার শরীরের গঠনকেও প্রভাবিত করে। সাধারণত, মহিলাদের স্তনের মাপ একে অপরের থেকে আলাদা। এমতাবস্থায় একজন নারীর সবচেয়ে ভালো মাপ কী হওয়া উচিত তা বলা ঠিক নয়। তাদের স্তনের আকারের সাথে সম্পর্কিত কতগুলি মিথ আছে , যা মহিলারা বিশ্বাস করেন এবং তারা এর ওপর বিশ্বাস করে নিজেরও ক্ষতি করতে পারে। আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে। আজকে আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো স্তনের আকার সম্পর্কিত মিথ ও সত্য কি।
নিম্নে স্তনের আকার সম্পর্কিত পুরোন কাহিনী এবং সত্যগুলি দেওয়া হল-
১- স্তন টিপলে সাইজ বাড়ে
এগুলো মিথ। কিছু মহিলা আছেন যারা শারীরিক সম্পর্কের সময় স্তন প্রেস করতে অস্বীকার করেন। তারা ভয় পায় যে স্তন প্রেস করলে আকার বাড়তে পারে। তবে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে এই বিষয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই বা ডাক্তাররা এটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করেন না।
২ - স্তন ম্যাসেজ করা স্তনের আকারকে পরিবর্তন করে
এটিও সঠিক নয়। মহিলারা মনে করেন যে তারা স্তন ম্যাসেজ করলে, এটি তাদের আকারকে প্রভাবিত করে এবং তারা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও, এই কারণে, এটি বলা হয় যে পেশীগুলিতে রক্ত প্রবাহ দ্রুত হয়। তবে আমরা আপনাকে বলি যে এই বিষয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।
৩- বিয়ের পর অবশ্যই স্তনের আকার বাড়ে
এটি একটি মিথ। আমরা আপনাকে বলে রাখি যে বিয়ের পরে প্রত্যেক মহিলার স্তনের আকার বাড়তে হবে এমন নয়। তবে হ্যাঁ, যেসব নারী বিয়ের পরপরই গর্ভধারণ করেন তারা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তনের আকার পরিবর্তন এবং বড় হয়।
৪ - বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় স্তনের আকার বাড়তে পারে
এটি একটি মিথ। দেখা যায় যে মহিলাদের প্রায়ই গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায়, যার কারণে স্তনের আকারও প্রভাবিত হতে পারে। একই সময়ে, প্রসবের পরে যখন মহিলারা ওজন হ্রাস করেন, তখন স্তনের আকারও হ্রাস পায়।
৫ -পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমালে স্তনের আকার কমে যায়
এটি একটি মিথ। মনে রাখবেন যে পেটের উপর ঘুমানো সর্বোত্তম আকারকে প্রভাবিত করে না। স্তন ছোট হওয়া তাদের শারীরিক বিকাশ এবং হরমোনের উপর নির্ভর করে। তাই এ বিষয়ে কোনো সত্যতা নেই।
দ্রষ্টব্য - উপরে উল্লিখিত পয়েন্টগুলি দেখায় যে কিছু মিথ রয়েছে যা মহিলারা সত্য বলে বিশ্বাস করেন। এমতাবস্থায় সেসব মিথ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও, যদি মহিলারা তাদের স্তনের আকারে পরিবর্তন অনুভব করেন তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
No comments