Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শীতে হাঁটু আর কনুইয়ের যথাযথ যত্ন

আমরা মুখ, গলা বা পিঠের যত্ন নিয়ে যতটা ভাবি, তার কিঞ্চিৎমাত্রও বরাদ্দ রাখি না হাঁটু আর কনুইয়ের জন্য। এমনকী ম্যানিকিওর-পেডিকিওর করালেও হাঁটু-কনুই বাদ রয়ে যায়। আর তাই এই দুই অঙ্গেই পড়ে কালো ছোপ, নিয়মিত ঘষা-মাজা না করলে এই কালো অংশট…



আমরা মুখ, গলা বা পিঠের যত্ন নিয়ে যতটা ভাবি, তার কিঞ্চিৎমাত্রও বরাদ্দ রাখি না হাঁটু আর কনুইয়ের জন্য। এমনকী ম্যানিকিওর-পেডিকিওর করালেও হাঁটু-কনুই বাদ রয়ে যায়। আর তাই এই দুই অঙ্গেই পড়ে কালো ছোপ, নিয়মিত ঘষা-মাজা না করলে এই কালো অংশটা ক্রমশ সাদাটে হয়ে মৃত চামড়া উঠতে থাকে। যদি আপনি খাটো হাতা জামা পরেন কখনও, অথবা স্কার্ট বা শর্টস – তা হলেই চোখে পড়বে এই অংশগুলি। কিন্তু প্রত্যেকদিন স্নানের সময়ে যদি সামান্য একটু সময় বরাদ্দ রাখেন কনুই আর হাঁটুর জন্য, তা হলেই বাড়বে আপনার হাত ও পায়ের সৌন্দর্য। জানতে চান তা কীভাবে সম্ভব?


প্রথমেই আপনার যে জিনিসটা চাই, তা হল ঝামা পাথর বা পামিস স্টোন। আজকাল এমন সাবানও কিনতে পাওয়া যায় যার মধ্যে ঝামা পাথরের গুঁড়ো মিশ্রিত থাকে। তেমন একটা কিছু হাতের কাছে রাখলে আপনি চট করে কনুই আর হাঁটুতে জমে ওঠা মৃত চামড়া সাফ করে ফেলতে পারবেন। স্নানের সময়ে যখন গায়ে সাবান মাখছেন, তখনই এই অঙ্গগুলিও ঘষে নিন প্রত্যেকদিনই। তা হলে একদিনে বাড়তি চাপ পড়বে না। স্নানের পর আপনি গোটা শরীরে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান নিশ্চয়ই? কিন্তু এই দু’টি জায়গায় সাধারণ ময়েশ্চরাইজ়ার চলবে না – এমন কিছু বেছে নিন যার ঘনত্ব বেশি। রাতে শোওয়ার আগে  ক্রিম অবশ্যই লাগিয়ে নেবেন।


হাঁটু ও কনুইয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত কোষ জমতে থাকলেই তার রং কালো হতে আরম্ভ করে। তাই মৃত চামড়া নিয়মিত পরিষ্কার হলেই রঙের ফারাক দিব্যি বুঝতে পারবেন। তা ছাড়াও দুধের সর, পাতিলেবুর রস, ময়দা আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগিয়ে রাখতে পারেন। লেবুর রস ব্লিচ হিসেবে কাজ করে কালো ছোপ সরাতে সাহায্য করে, বাকি তিনটি উপাদান জোগায় আর্দ্রতা। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ জলে ধুয়ে নিয়ে ভালো করে ক্রিম লাগিয়ে নিন। যাঁদের হাঁটু বা কনুইতে ভর দিয়ে বসার অভ্যেস আছে, তাঁরা এবার থেকে একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন। এই দু’টি জায়গায় যত বেশি চাপ পড়বে, তত বাড়বে কড়া পড়ার আশঙ্কাও।

No comments