বিকেল হলেই মনটা খাই খাই করে ওঠে। মিথ্যে কথা। মন সারাদিন ধরে খাই খাই করে। বিকেলের ঘারে সমস্ত দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। সারাদিন ধরেই পেটে খিদে ভর্তি থাকে। যখন অফিস, স্কুল, কলেজ ছিল তখনও পেত। আর বাড়িতে থেকে তো খিদে যেন এভারেস্টের উচ্চতা ছুঁই ছুঁই।খিদে পেলেই চিপস্, চানাচুর, ঝুরি ভাজা, চপ, কাটলেট, রোল, চাউমিন, পাস্তা, বার্গার, কচুরি, সিঙারা, প্যাটিস্, মিষ্টি, পেস্ট্রি, ব্রাউনিরা তো সব লক লক করে আপনার দিকে চেয়ে থাকে। ভাবটা এমন, "কীরে আমায় কখন খাবি? পাশের টেবিলের রশ্মি তো একটু আগে এক থালা পাস্তা শেষ করে ফের দুটো চিপস্-এর প্যাকেট আর কফি নিয়ে বসেছে। স্যান্ডি তো কোন দিন একটা চিপস্-এর কারখানার মালিক না হয়ে যায়। আর রিমিকে দেখলে তো মনে হয় সারাদিন জাবর কাটছে। ব্যাগ ভর্তি খাবার। আর তুই কিনা...?"ব্যস্, এত অপমান তো আর সহ্য হয় না। টপাটপ দুটো গোলাপ জাম, আর সিঙারা খেয়ে ফেললেন। সঙ্গে দুধ চা। ফেরার পথে একটা ঝুরি ভাজার প্যাকেটও কিনে নিলেন। আর শরীরের যা সর্বনাশটা এতক্ষণ ধরে আটকে ছিল সেটাও অনায়াসে হয়ে গেল।
আসলে খাই খাই স্বভাবটা পেটুকদের মজ্জাগত। এর থেকে রেহাই নেই। তা খেতে যখন ভালোবাসেন তখন স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের খেয়ালটাও রাখুন। খাই খাই বাতিককে শান্ত করতে প্রোটিন লাড্ডা খাওয়ার অভ্যাস করুন। হলফ করে বলতে পারি যে এই লাড্ডু একবার খেলে দিল্লির লাড্ডুকেও ভুলে যাবেন।
বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় এই প্রোটিন লাড্ডু। প্রোটিন লাড্ডু বা এনার্জি বল
উপরকরণ:
ড্রাই ফ্রুটস্ যেমন, কাজু, পেস্তা, আখরোট, আমন্ড ১ কাপ
কিশমিস ২ কাপ
খেজুর (বীজ ছাড়ানো) ১/২ কাপ
ওটস্ গুঁড়ো ১/৪ কাপ
ঘি ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
ড্রাই ফ্রু, কিসমিস, খেজুর এবং ঘি গ্রাইন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। ভুলেও জল দেবেন না।
এবার একটি পাত্রে মিশ্রণটি নিয়ে তাতে ওটস্ গুঁড়ো মেশান। লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন।
প্রতিদিন টিফিন বক্সে করে অফিস বা কলেজে নিয়ে যান। খিদে পেলেই একটা মুখে ফেলে দিন। অল্প খেলেই পেট ভরবে। স্বাদেও অসাধারণ। সবচেয়ে বড় কথা এটি পুষ্টিকর।
কেন খাবেন এই লাড্ডু?
ডায়েটিশিয়ানদের মতে চিপস্, ঝুরিভাজা, মিষ্টি, নিমকি বা অন্য কোনও জাঙ্ক ফুডের চেয়ে প্রোটিন লাড্ডু অনেক বেশি পুষ্টিকর।
ড্রাই ফ্রুটস্-এ আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার, ভিটামি ই, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশ কম। এনার্জি বেশি থাকলেও তা ভালো ফ্যাট। শরীরকে সুস্থ রাখে। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এই ড্রাই ফ্রুট লাড্ডু কিন্তু ডায়বিটিস রোগীরাও অনায়াসে খেতে পারেন।
নিয়মিত ড্রাই ফ্রুট খাওয়া ত্বক এবং চুলের পক্ষে ভালো।
No comments