ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি তেল মালিশের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি যদি সারাজীবন তেল দিয়ে মালিশ করেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য দুটোই অটুট থাকে। এর ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। নিয়মিত তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয় এবং শরীরের স্নায়ু ও স্নায়ু শক্তি পায়। আপনার পেশী দুর্বল হয়ে গেলে অবশ্যই তেল মালিশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ক্লান্তি বোধ করলে অবশ্যই তেল মালিশ করতে হবে। এতে শরীরে শক্তি অনুভূত হয় এবং হাড় মজবুত হয়।
১. সরিষার তেল
সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী এবং এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উন্নতি ঘটে। পেশীর টান দূর করতেও এটি খুবই উপকারী। হালকা রোদে সরিষার তেল মালিশ করলে তা শরীরে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-ডি শোষণ করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল ঘাম গ্রন্থি সক্রিয় করে, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
২. তিলের তেল
তিলের তেলে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যাতে বার্ধক্যজনিত কোনো সমস্যা হয় না। এটি ত্বককে দূষণ থেকেও রক্ষা করে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ প্রতিরোধ করে। তিলের তেল কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ডি যা শরীরের ভালো বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. আতিবালা মানে টক তেল
আতিবালা তেল আয়ুর্বেদে স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি, জয়েন্টে ব্যথা, পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার পরে দুর্বলতা এবং মুখের পক্ষাঘাত নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
৪. নারকেল তেল
নারকেল তেল ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে। এটি চর্মরোগ, ডার্মাটাইটিস, একজিমা এবং ত্বকের পোড়া রোগেও খুব উপকারী। মাত্র পাঁচ মিনিট নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে শুধু রক্ত সঞ্চালনই বাড়ে না, হারানো পুষ্টিও পূরণ হয়।
No comments