এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের জিমে যেতে বা শরীরচর্চা করতে মোটেই ভালো লাগে না। দায়ে পড়ে মেম্বারশিপ নিতে বাধ্য হলেও অর্ধেকদিন কামাই করলে কি আর কাজের কাজ হবে কিছু? তার চেয়ে আমরা এমন কয়েকটি উপায় বাতলে দিচ্ছি, যা আপনার ওজন কমাবে, সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে। জানতে চান সেগুলি কী?
বাড়ি পরিষ্কার করুন: পরিষ্কার বলতে কিন্তু আমরা স্রেফ ঘর-দোর ঝাড়াঝুড়ির কথাই বলছি না, তার মধ্যে পড়বে বাসনমাজা, কাপড়কাচা, আলমারি গোছানো, ইস্তিরি করা, ঘর মোছার মতো কাজও। নিজের বাড়িটা যদি একেবারে ঝকঝকে ফিটফাট রাখতে পারেন, তার মানেই আপনি দারুণ অ্যাকটিভ এবং সারাদিন আপনার ক্যালোরি পুড়ছে। সুতরাং জিমে যেতে পারছেন না বলে নো চিন্তা!
প্রাণ খুলে হাসুন: যাঁরা মানুষ হিসেবে খুব হাসি-খুশি, তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুই-ই ভালো থাকে। খুশি থাকার চেষ্টা করুন সব সময়ে, যত হাসবেন তত বেশি ক্যালোরি পুড়বে। পাড়ায় পাড়ায় এত লাফিং ক্লাব কি আর এমনিই গজিয়ে উঠেছে বলে মনে হয়? আপনার হাতের মুঠোয় ইউটিউব আছে নিশ্চয়ই? সার্চ করে দেখুন, অজস্র মজাদার কনটেন্ট খুঁজে পাবেন!
বাড়তি ক্যালোরি ঝরানোর উপায়
কথা বলার সময় পায়চারি করুন: যাঁরা হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলেন, তাঁদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে বেশিদিন। এ টুকু পরিশ্রম কিন্তু আপনি অফিসে বা বাড়িতে যেখানেই থাকুন না কেন, স্বচ্ছন্দে করতে পারবেন!
বাগান করুন: যাঁদের বাড়িতে বাগান আছে, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে সেটির পরিচর্যায় কতটা সময় ব্যয় হতে পারে? গাছের গোড়ার মাটি আলগা করা, সার দেওয়া, পোকা হচ্ছে কিনা লক্ষ রাখা, রাসায়নিক মুক্ত সার তৈরি, গাছে জল দেওয়া করেছেন কখনও? সময় যে কোথা থেকে বেরিয়ে যাবে, খেয়ালই থাকবে না! আর সে গাছে যেদিন প্রথম ফুল বা ফল ধরবে, সেদিনের অপার্থিব আনন্দের বর্ণনা কোনও ভাষাতেই করা সম্ভব নয়!
গান বাজনা শুনুন: এমন গান বা বাজনা শুনুন, যা শুনলে চুলচাপ বসে না থেকে উঠে নাচতে ইচ্ছে করবে! বিশেষ করে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যদি রীতিমতো হই-হুল্লোড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, তা হলে তো শরীরের পাশাপাশি মনের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে!
No comments