Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আপনি জল কম খাচ্ছেন কিনা কিভাবে বুঝবেন?

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে। অত্যাধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে অনেক সময় শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তখন নানা রকম ভাবে আপনার শরীর জানান দেয় যে ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন আপনি। কিন্তু অ…




শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে। অত্যাধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে অনেক সময় শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তখন নানা রকম ভাবে আপনার শরীর জানান দেয় যে ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন আপনি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো বুঝতে পারি না। আপনি যে জল কম খাচ্ছেন, তা বোঝা সম্ভব নানা রকম লক্ষণ থেকে। জেনে নিন সেগুলো কী।


মুখে দুর্গন্ধ

মুখের লালায় অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ থাকে। কিন্তু জল কম খেলে বেশি লালা তৈরি হয় না এবং মুখে ব্যাকটিরিয়া বেড়ে যায়। তা থেকেই মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। সকালে উঠে মুখে দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোনোর কারণও তাই। ঘুমের সময় আমাদের শরীরের লালা উৎপাদন কম হয়। তাই সকালে উঠে মুখ ধুয়েই অনেকটা জল খেয়ে নিতে পারেন।


শুষ্ক ত্বক


অনেকের ধারণা খুব বেশি ঘামেন যাঁরা, তাঁদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে। তবে সত্যিটা কিছুটা আলাদা। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা যখন অনেক বেড়ে যায়, তখন ত্বক শুকিয়ে যায়। কী করে বুঝবেন? হাতে চিমটি কেটে দেখুন। ত্বক কি অনেকক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? স্বাভাবিক হতে সময় নিচ্ছে? তাহলে আপনার আরও জল খাওয়া প্রয়োজন।


হাত-পায়ে টান ধরা


খুব গরমে যখন ব্যায়াম করেন, শরীরও গরম হয়ে যায়। তা ঠান্ডা হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন। কিন্তু ডিহাইড্রেশন হলে, সেই জলটা পায়ে না মাংসপেশিগুলো। তাই চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে মনে রাখবেন, জল খুব কম খেলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে ঠান্ডার মধ্যেও।


মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা


শরীরের জল কম গেলে আপনার লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে যা আমাদের শরীরে এনার্জি জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই আপনার নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।


মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা


শরীরের জল কম গেলে আপনার লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে যা আমাদের শরীরে এনার্জি জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই আপনার নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।


মাথা ধরা


মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। তাই সারাক্ষণ মাথা ধরে থাকলে একটা বড় গ্লাস ভর্তি করে জল খান। এবং সারা দিন ধরে মাঝেমাঝেই জল বা অন্য কোনও পানীয়ে (ডিটক্স ওয়াটর, ফলের রস, শরবত, লস্যি, ঘোল ইত্যাদি) চুমুক দিন। অনেকটাই রেহাই মিলবে।

No comments