করোনার ভ্যাকসিনের নামে জালিয়াতি করা দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে এক চমকপ্রদ খবর সামনে এসেছে। জানা গেছে, তিনি মানুষের জীবন নিয়ে খেলছিলেন। আইএএস অফিসার মানুষকে করোনার ভ্যাকসিনের পরিবর্তে অ্যামিকাসিন ইনজেকশন (অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ড্রাগ) দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার লালবাজারের অ্যান্টি-জালিয়াতি শাখার দল এটি প্রকাশ করেছে।
অভিযুক্তকে বুধবার কসবা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আবার কসবার রাজডাঙায় তাঁর অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যরা প্রায় দুই ঘন্টা অফিসের ভিতরে তিনটি কক্ষ তল্লাশি করেন। এসময় সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে কোভিশিল্ড স্টিকার পাওয়া গেছে।
দেবানঞ্জনের ল্যাপটপ থেকে পুলিশ পিডিএফ ফর্ম্যাটে কোভিশিল্ডের স্টিকারের নমুনা পেয়েছে। শুধু তাই নয়, দুটি কক্ষের অভ্যন্তর থেকে কোভিশিল্ডের স্টিকার সহ প্রচুর পরিমাণে অ্যামিকাসিন ইনজেকশন এবং কিছু অ্যামিক্যাসিন ইনজেকশনে কোভিশিল্ড স্টিকার লাগানো ইনজেকশন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার পরে টিকা দেওয়ার নামে জালিয়াতি প্রকাশিত হয়েছে।
তদন্তে আরও দেখা গেছে যে, তিনি কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের (কেএমসি) যুগ্ম কমিশনার হিসাবে পোস্ট করা ওষুধের দোকান থেকে এই ইঞ্জেকশনটি কিনতেন। শুধু এই ইঞ্জেকশনই নয়, কয়েকটি শিবিরে তিনি পাউডার মিশ্রিত জল গুলে লোকদের কোভিড ভ্যাকসিন হিসাবে ইনজেকশন দিয়েছিলেন। বাচ্চাদের দেওয়া অ্যান্টি-ইনফেকশন ওষুধেও তিনি কোভিড ভ্যাকসিন স্টিকার দিয়ে লোকদের শিবিরে স্থাপন করেছেন ।
অভিযুক্তের ল্যাপটপ থেকে আটককৃত অনেক কোভিশিল্ড স্টিকারের নমুনা, কিছু পাউডার গুঁড়ো পেয়েছে এবং জলও ইনজেকশন পেয়েছে
তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেছেন যে আসামি কেন এ জাতীয় শিবিরগুলি ভুয়া পদ্ধতিতে পরিচালনা করত, সেখান থেকে তার কী লাভ হয়েছিল। তিনি এর জন্য তহবিল কোথা থেকে পেয়েছেন? এই বিষয়ে তাঁর সাথে আর কে জড়িত। পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলিধর শর্মা বলেন যে দেবাঞ্জনের কসবাতে অবস্থিত তার অফিসের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে জাল শিবির আয়োজন করে তিনি করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে মহানগরের আরও কয়েকটি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, শিগগিরই অন্যান্য তথ্যা প্রকাশের আশা করা হচ্ছে।
No comments