Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী! কাজ বন্ধ করলেন গ্রামবাসীরা

রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী! কাজ বন্ধ করলেন গ্রামবাসীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৪ জানুয়ারি: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ যোজনার রাস্তা তৈরীর কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদার কালিয়াচক ত…

 


রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী! কাজ বন্ধ করলেন গ্রামবাসীরা




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৪ জানুয়ারি: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ যোজনার রাস্তা তৈরীর কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদার কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বেদরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলাউড়ি গ্রামে। 


এই এলাকার বেদরাবাদ, লক্ষ্মীপুর, শাহবানচক তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে একটি রাস্তা চলে গেছে। রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার কংক্রিটের ঢালাই করার জন্য ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে গেলে গ্রামবাসীরা দেখেন অত্যন্ত নিম্নমান বালি-সিমেন্ট দিয়ে রাস্তার কাজ হচ্ছে, তৈরীর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এরপর গ্রামবাসীরা যৌথভাবে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানান। তাতেও কাজ বন্ধ না হলে গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত উপপ্রধান কল্পনা চৌধুরীর কাছে নালিশ জানায়। 


গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পুত্র প্রসেনজিৎ চৌধুরী ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তারা এবং বুধবার থেকে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্রামের বাসিন্দা নিমাই দাস জানিয়েছেন, 'এই রাস্তা তিন মাসেও টিকবে না। বালি সিমেন্ট অত্যন্ত নিম্নমানের।'


আরেক বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডলের কথায়, 'এত নিম্নমানের কাজ দেখিনি। সিমেন্টে মাটি মেশানো আছে, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করতে হল।'


গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্পনা চৌধুরীর ছেলে প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, 'গ্রামবাসীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ঠিক, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এই রাস্তা ছয় মাস টিকবে না। আমরা ঠিকাদারদের বলতে গেলে ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই গ্রামবাসীরা সকলে মিলে রাস্তার কাজ বন্ধ করেছে।'


এই বিষয়ে বিডিও সুকান্ত শিকদার বলেন, 'গ্রামবাসীদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।'

No comments