Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আরেকটি বড় সাফল্য বিএসএফ-এর, সীমান্তে ০২ কোটি টাকার ২৮ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ চোরাচালানকারী গ্রেফতার

আরেকটি বড় সাফল্য বিএসএফ-এর, সীমান্তে ০২ কোটি টাকার ২৮ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ চোরাচালানকারী গ্রেফতার

উত্তর ২৪ পরগনা, ০৪ মে : ০২ মে, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি  টিল্লার জওয়ানরা তাদের দায়িত্…


 আরেকটি বড় সাফল্য বিএসএফ-এর, সীমান্তে ০২ কোটি টাকার ২৮ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ চোরাচালানকারী গ্রেফতার



উত্তর ২৪ পরগনা, ০৪ মে :

 ০২ মে, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি  টিল্লার জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ২৮ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ জন চোরাকারবারীকে ধরেছে, যেগুলো চোরাকারবারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।  জব্দ করা সোনার ওজন ৩২৬৪ গ্রাম এবং যার আনুমানিক মূল্য ১,৯৮,৭৮,৫৫২/- টাকা।

 

 ০২ মে, ২০২৩ তারিখে বিএসএফ সদস্যরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।  কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পরে, জওয়ানরা তাদের কাছ থেকে ২৮ টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনার পর জানা যায় চোরাকারবারীরা সম্পর্কে পিতা-পুত্র।  দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাচার করে আসছে।  ধৃত চোরাকারবারিরা হলো আমজাদ মণ্ডল এবং হাজগর মণ্ডল, জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।


 জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ মন্ডল জানায়, সে গত ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা তস্কর শরীফ মন্ডলের থেকে এসব সোনার বিস্কুট নিয়ে আসছিল।  কিন্তু তারবন্দির কাছে বিএসএফ জওয়ানদের দেখা মাত্রই তারা এই সোনার বিস্কুটগুলো ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।  তারপরে জওয়ানরা পুরো এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও কিছু পায়নি। সে আরও জানায় যে এর আগে ৩০ এপ্রিল সে বনগাঁ গ্রামের রাজুর কাছে ০৫ টি সোনার বিস্কুট হস্তান্তর করেছিল এবং বাকি ২৮ টি সোনার বিস্কুটও হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল, কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে।  ০২ মে, ২০২৩ তারিখে জওয়ানরা চোরাকারবারিদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে এবং চোরাকারবারীরা ঝোপ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি বের করে জওয়ানদের হাতে তুলে দেয়।


 জব্দকৃত সোনাসহ গ্রেফতারকৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনগাঁর কাস্টমস বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


 দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, চোরাকারবারীরা নতুন নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে।  কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা এবং বোঝাপড়ার কারণে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে এবং তাদের পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত নস্যাৎ করা হচ্ছে।  জওয়ানদের এত বড় সাফল্যে তিনি খুশি প্রকাশ করেছেন।


বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছে যে, যদি তাদের নজরে সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা যেন বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭  জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে।  সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

No comments