বাড়ির নিরিবিলি জায়গাগুলির মধ্যে একটি পূজার ঘর অর্থাৎ মন্দিরও অন্তর্ভুক্ত। পূজার ঘরে গেলেই আমাদের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। অধিকাংশ বাড়িতেই ঠাকুরঘর থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির সবচেয়ে পবিত্র স্থান হল পূজার স্থান। কারণ এখান থেকেই বেশিরভাগ ইতিবাচক শক্তির উৎপত্তি হয়। তাই এমন জিনিস কখনও পুজোর ঘরে রাখা উচিৎ নয়, যা নেতিবাচকতা নিয়ে আসে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই জিনিসগুলি পূজার জায়গায় রাখলে অনেক সমস্যা হয়। এ ছাড়া অর্থের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
ঘরের প্রতিটি কোণার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ যত্ন নিতে হবে ঘরের কোন কোণে কোন রং বেছে নেবেন। বাড়ির নিরিবিলি জায়গাগুলির মধ্যে একটি হল পূজা ঘর অর্থাৎ মন্দির, যেখানে আমরা আরামে বসে শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপাসনা করতে পারি।
পূজার বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয় এবং নেতিবাচক জিনিসগুলি আপনা থেকেই চলে যায়। এই ইতিবাচকতা বজায় রাখতে, পূজা বাড়িতে সঠিক রং ব্যবহার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তু অনুসারে, দেওয়ালে হালকা হলুদ রঙের ব্যবহার পূজা বাড়ির জন্য শুভ বলে মনে করা হয় এবং মেঝেতে হালকা হলুদ বা সাদা রঙের পাথর বেছে নেওয়া উচিৎ।
এই রংগুলো বেছে নিলে আমাদের ভেতরে যেমন পজিটিভ এনার্জি সঞ্চারিত হয় তেমনি মনে ভালো চিন্তা আসে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঠাকুর বাড়িতে কখনও ভাঙা মূর্তি রাখা উচিত নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের মূর্তি রাখলে পূজার ফল পাওয়া যায় না এবং নেতিবাচক শক্তি বেশি ছড়ায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঠাকুর কখনই বাড়িতে একাধিক দেবতার মূর্তি রাখবেন না। এমনটা করলে খারাপ প্রভাব পড়বে।
বাস্তু অনুসারে, ছেঁড়া ধর্মীয় বই পুজোর ঘরে কখনই রাখা উচিত নয়।
ভগবানকে কখনই ভাঙা চাল নিবেদন করা উচিত নয়। ঠাকুর বাড়িতে যদি এমন চাল থাকে তবে তা সরিয়ে পুরো চাল রাখুন।
বাস্তু অনুসারে এই জিনিসগুলি বাড়ির ঠাকুর ঘরে রাখা উচিত। তাহলে সেই বাড়িতে বাস্তুর ইতিবাচক শক্তি থাকে।
No comments