আজকাল বাজারে প্লাস্টিক ও লোহার আসবাবপত্র সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঠের আসবাবপত্র রাখা সবসময়ই ভালো।
বাস্তুশাস্ত্রে আসবাবপত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তু অনুসারে ঘর বা আসবাব তৈরির সময় বাড়ির ভিতরে যত্ন না নিলে নেতিবাচক শক্তি জীবনে প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, বাড়ির আসবাবপত্র যদি বাস্তু অনুসারে হয়, তবে ব্যক্তি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য লাভ করে। আসলে ঘরের আসবাবের সাথেও সুখের সম্পর্ক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন ঘরের আসবাবের জন্য বিশেষ কিছু বাস্তু টিপস।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, আসবাব কেনার সময় এর আকারের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। এই ক্ষেত্রে, আসবাবপত্রের প্রান্ত ধারালো হওয়া উচিৎ নয়। ঘরে গোলাকার আসবাবপত্র রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
প্রসঙ্গত, আজকাল বাজারে প্লাস্টিক ও লোহার আসবাবপত্র সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঠের আসবাবপত্র রাখা সবসময়ই ভালো। লোহা বা প্লাস্টিকের তৈরি আসবাব ঘরে নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। যার জেরে বিরোধ বাড়তে থাকে। এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও মানসিক চাপে পড়তে হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে পিপল, চন্দন এবং বট কাঠের তৈরি আসবাব বাড়িতে রাখা উচিৎ নয়। কারণ এই গাছগুলোকে পূজনীয় বলে মনে করা হয়। তবে ঘরে চন্দনের একটি পূজা মন্দির রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে, নিম, গোলাপ কাঠ, সেগুন, অর্জুন এবং অশোক কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্র রাখা শুভ।
আসবাবপত্র যদি খুব ভারী হয় তবে তা বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা উচিৎ। তবে হালকা ওজনের আসবাবপত্র উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে ভারী আসবাবপত্র উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে নেতিবাচক শক্তির সঞ্চালন হয়। যার কারণে জীবনে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।
No comments