মহিলারা সাধারণত গর্ভাবস্থার পরে স্ট্রেচ মার্কের সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু কিছু মানুষ ওজন কমার পর বা ত্বকে বেশি স্ট্রেচ পড়ার পর স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় ভোগেন। এটি একটি গুরুতর সমস্যা নয়। কিন্তু এটি আমাদের শরীর এবং সৌন্দর্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শুধুমাত্র মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না, তবে প্রসারিত চিহ্নগুলি একজন ব্যক্তির জন্য বিব্রতকর অবস্থার কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বলে রাখি যে এই সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরা উপকারী।
গবেষণা কি বলে
1- আসুন আপনাকে বলি যে স্ট্রেচ মার্কের জন্য অ্যালোভেরার প্রভাব খুব গভীর হতে পারে। এ নিয়ে একটি গবেষণাও বেরিয়েছে, যা অনুযায়ী অ্যালোভেরার ব্যবহারে স্ট্রেচ মার্ক দূর করা যায়।
2 - আমরা যদি অন্যান্য গবেষণার কথা বলি, তবে তার মতে, যদি অ্যালোভেরার সাথে বাদামের তেল ব্যবহার করা হয় এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান, তবে এটি কেবল চুলকানি কমাতেই পারে না, স্ট্রেচ মার্কগুলিকে বাড়তেও বাধা দিতে পারে। এর পেছনের কারণ হল অ্যালোভেরা শুধু কোলাজেন বাড়াতে পারে না, ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখতে পারে।
স্তনে স্ট্রেচ মার্ক কেন? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিরোধের উপায়
স্ট্রেচ মার্কগুলিতে অ্যালোভেরা কীভাবে ব্যবহার করবেন
ঘরে বসেই স্ট্রেচ মার্কের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন নানাভাবে। এই পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ-
1- অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেল ব্যবহার করুন
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল থাকতে হবে। এবার একটি পাত্রে দুটোই ভালো করে মেশান এবং মিশ্রণটি স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগান। এবার হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন এবং মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন। এটি করলে স্ট্রেচ মার্ক দূর করা যায়।
2- অ্যালোভেরা জেল এবং লেবুর রস ব্যবহার করুন
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে অবশ্যই অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। এবার একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এবার মিশ্রণটি ত্বকে 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এখন আপনার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে যেকোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি করলে স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
3- অ্যালোভেরা জেল এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার অবশ্যই অলিভ অয়েলের সাথে অ্যালোভেরা জেল থাকতে হবে। এবার একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগান। প্রায় 25 থেকে 30 মিনিট পরে, মিশ্রণটি সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে করে শুধু ত্বকের স্ট্রেচ মার্কই দূর করা যায় না প্রদাহ, লালভাব ইত্যাদি সমস্যাও দূর করা যায়।
4- অ্যালোভেরা জেল এবং মধু ব্যবহার করুন
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার অ্যালোভেরা জেলের পাশাপাশি মধু থাকতে হবে। এবার একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল এবং মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগান। প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণ দিয়ে শুধু স্ট্রেচ মার্কই দূর করা যায় না। বরং এটি শরীরের ফোলাভাব ও লালভাব দূর করতেও উপকারী। আসুন আপনাকে বলি যে মধু ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে খুব উপকারী। ক্ষত সারাতেও এই মিশ্রণ খুবই উপকারী।
5 - অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল
এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার অবশ্যই অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল থাকতে হবে। এবার একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্রস্তুত মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অন্যথায় আপনি এই মিশ্রণটি ক্রিম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাখ্যা করুন যে ভিটামিন ই স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে কার্যকর। এর পাশাপাশি, এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতেও কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
No comments