প্রায়শই শিশুরা বই খোলার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। এটি কেবল অধ্যয়নরত শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, বড়দের ক্ষেত্রেও ঘটে। প্রায়শই বাবা-মায়েরা পড়ুয়াদের এই সমস্যাটিকে উপেক্ষা করলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম থেকে রেহাই পেতে যে টোটকাই অবলম্বন করা যায়, সেগুলো বাস্তবায়ন করা উচিৎ, তা না হলে এই সমস্যা আপনার স্মৃতিশক্তিরও শত্রু হয়ে উঠতে পারে।
পড়ালেখার সময় আমাদের চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং মস্তিষ্ক কম্পিউটার মেমরির মতো পড়াকে খাওয়াতে থাকে। এমন অবস্থায় চোখের পেশী শিথিল হতে শুরু করে এবং মস্তিষ্ক অল্প সময়ের মধ্যে পরিশ্রম করতে অস্বীকার করে এবং আমরা ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করি।
অধ্যয়নরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হল অধ্যয়নের সময় আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশই শিথিল অবস্থায় থাকে এবং শুধুমাত্র চোখ এবং মস্তিষ্ক কাজ করে। এমন অবস্থায় সারা শরীর শিথিল হওয়ার কারণে মাংসপেশি শিথিল হতে শুরু করে এবং ঘুম আসে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা পড়ার জন্য এক ভঙ্গিতে বসার পরামর্শ দেন।
যখন আমাদের শরীর শিথিল হয়, তখন এটি ঘুমের ভঙ্গিতে চলে যায়। এটি শুধুমাত্র পড়াশোনার সময় নয়, গাড়িতে ভ্রমণের সময়ও ঘটে। আপনিও নিশ্চয়ই যাত্রাপথে মানুষকে ঘুমাতে দেখেছেন। এর পেছনেও একই বিজ্ঞান কাজ করে। এমনকি মহাসড়কের চালকরাও তন্দ্রা অনুভব করতে শুরু করেন, কারণ এই সময়েও মন ও চোখ কাজ করে এবং শরীরের বাকি অংশ তুলনামূলকভাবে শিথিল থাকে।
ঘুম না আসার জন্য কি করবেন?
পড়াশোনার জায়গায় ভালো আলোর ব্যবস্থা করা উচিৎ।
বাইরের বাতাস ও আলো অধ্যয়নের জায়গায় পৌঁছাতে হবে, যাতে বাইরের বাতাস ও আলোর সঙ্গে শরীরে সতেজতা বজায় থাকে।
বিছানায় বসে কখনই পড়বেন না, বরং চেয়ার-টেবিলে পড়ার অভ্যাস করুন।
আপনার পড়াশোনা শুরু করার আগে হালকা খাবার খান যাতে আপনি অলস বোধ না করেন।
No comments