– পায়ের যত্ন আপনি মোটেই নিচ্ছেন না! সারা বছরের প্রতিটি দিন ঠিক যেভাবে মুখের বা চুলের যত্ন নেন, আপনার পায়ের পাতাও ততটাই যত্নের দাবিদার। সময়মতো সেটুকু না দিলে শীতের দিনে তো বাড়তি একটু সমস্যা হবেই! তবে এখনও খুব দেরি হয়নি, আজ থেকেও যদি আপনি প্রচেষ্টা শুরু করেন, তা হলে তীব্র শীতেও পা থাকবে মখমলি কোমল।
পা ফাটে? ঢাকা জুতো পরুন: যাঁদের পা ফাটার সমস্যা খুব বেশি ভোগায়, তাঁদের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু হচ্ছে পা, বিশেষ করে গোড়ালি ঢাকা জুতো। পুজোর পর থেকেই তাকে তুলে রেখে দিন আপনার যাবতীয় বাহারি থং স্যান্ডাল, কোলাপুরি, ফ্লিপ ফ্লপ। শীতের কয়েকটা মাস পা ঢাকা পিপ টো, ব্যালেরিনা, মোজরি বা পাম্প শ্যুর উপর আস্থা রাখুন। স্নিকার্স তো সত্যিই ভালো অপশন। স্নানের পর পায়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নেওয়া আবশ্যক, তার পর পা ঢাকা জুতো পরলে শুকনো বাতাসেও আর্দ্রতা হারাবে না গোড়ালি। মোজা পরতে পারলে আরও ভালো হয়।
ফুটবাথ নিন: প্রতিদিন কাজকর্মের শেষে বাড়িতে ফিরে অন্তত মিনিট ২০ পা ডুবিয়ে রাখুন শ্যাম্পু মেশানো উষ্ণ জলে। তুলে পামিস স্টোন বা ঝামাপাথর দিয়ে ঘষে নিয়ে একবার ধুয়ে নিন, তার পর হালকা হাতে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে। শেষে গাঢ় কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান। এর উপর সুতির মোজা পরে শুতে পারলে পা কোমল থাকবে।
এক্সফোলিয়েশন আবশ্যক: পায়ের ত্বকের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে, জমতে দিলেই কিন্তু কড়া পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। চালের গুঁড়ো, মধু, লেবুর রস, দুধের সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে নিন। ফুটবাথ নেওয়ার পর এই প্যাক লাগিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন। শুকনো হয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলবেন – চক্রাকারে হাত চালিয়ে ঘষলে খুব ভালো স্ক্রাবিং হয়।
অ্যালো ভেরা জেল আর অলিভ অয়েলের প্যাক: ফুট বাথ নেওয়ার পর অ্যালো ভেরা জেল আর অলিভ অয়েলের একটা মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তার পর একটা মোজা পরে থাকুন। এটা আপনি অফিস আসার আগেও করতে পারেন। সারাদিন পা নরম থাকে।
ভিটামিন ই তেল আর পেট্রোলিয়াম জেলির মিশ্রণ: কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলে ফুটো করে তেলটা বের করে নিন। তার পর পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে ভিটামিন ই মিশিয়ে সেটা পায়ে মেখে ফেলুন। রাতের দিকে এই প্রলেপ লাগিয়ে মোজা পায়ে দিয়ে শুলে দারুণ নরম থাকবে পা।
No comments