শরীরে নুন বা লবণের ভূমিকা কী, তা মোটের উপর সবাই জানেন। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে মুখ ফোলা দেখায়, এ কথাও কারও অজানা নয়। ডাক্তারেরাও কাঁচা নুন খেতে বারণই করেন। কিন্তু খাওয়ার বদলে নুন যদি শরীরে মাখেন? তা হলে কিন্তু ফলাফলটা একদম বিপরীত হবে! সত্যি বলতে নুনের ব্যবহার আপনার ত্বককে আরও উজ্জ্বল, সতেজ ও টানটান করে তুলতে পারে! জেনে নিন কীভাবে!
এক্সফোলিয়েশনের কাজে ব্যবহার করুন নুন
চিনির মতোই নুন দিয়ে দারুণভাবে স্ক্রাবিং করা যায়। প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে নুন দারুণ। মৃত নির্জীব কোষ সরিয়ে ভিতর থেকে ত্বক ঝলমলে করে তুলতে পারে লবণ। নুন দিয়ে এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক দৃশ্যতই মসৃণ ও টানটান হয়ে ওঠে। তবে মুখ এক্সফোলিয়েট করতে নুন ব্যবহার করবেন না, কারণ খসখসে নুনের দানায় মুখের ত্বক ছড়ে যেতে পারে।
ভিতর থেকে ত্বক পরিষ্কার রাখুন
ত্বক পরিষ্কার করার কাজে চিনির চেয়ে নুন একটু বেশি কার্যকরী কারণ নুনে ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া সহজে জন্মাতে পারে না। একই কথা ত্বকের বেলাতেও প্রযোজ্য। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয় নুন এবং রোমছিদ্র গভীর থেকে পরিষ্কার রাখে।
ব্রণ কমাতে নুনের ব্যবহার
যেহেতু নুনের ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ রয়েছে, তাই ব্রণ সহ ত্বকের যে কোনও ধরনের র্যাশ কমাতে নুন ব্যবহার করা যায়। নুন ত্বক থেকে যাবতীয় ধুলোময়লা শুষে নেয় এবং সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে এনে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই এমন স্কিন ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন যাতে নুন রয়েছে। নুন যুক্ত টোনার ব্যবহার করলেও ফল পাবেন। কীভাবে বুঝবেন প্রডাক্টে নুন রয়েছে কিনা? ক্লেনজ়ার বা টোনার কেনার আগে লেবেলে দেওয়া উপাদানের তালিকায় সোডিয়াম ক্লোরাইড বা সিওয়াটার লেখা আছে কিনা দেখে নিন।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় নুন
নুন ত্বক থেকে দূষিত উপাদান শুষে নিয়ে আর্দ্রতা ও পুষ্টি ফিরিয়ে দেয়। নুন থেকে প্রাপ্ত নানা মিনারেল যেমন ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম ত্বকে আর্দ্রতা সঞ্চার করে ও ত্বক টানটান রাখে।
তাই পরেরবার নুনের কৌটো দূরে সরিয়ে রাখার আগে আর একবার ভাবুন। ত্বককে দিন নুনের গুণ!
No comments