থ্রেডিং করাতে বিউটি পার্লারে গেছেন, আর সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে মুখের যা অবস্থা, তাতে এক্ষুনি একটা ফেস ক্লিন-আপ না করালেই নয়! ফলে বেশ খানিকটা সময় আর ভালোমতো অর্থদণ্ড দিয়েই বাড়ি ফিরেছেন, এমন কতবার হয়েছে বলুন তো? অথচ একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু এই সালোনে গিয়ে ফেস ক্লিন-আপ করানোর ঝক্কিটা আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন। মনে রাখতে হবে, ফেস ক্লিন-আপ কিন্তু ফেসিয়ালের বিকল্প নয় কিন্তু দূষণ, রোদ, আবহাওয়ার প্রকোপে ত্বকের যে নৈমিত্তিক ক্ষতি হয়, সেটা প্রতিহত করতে ফেস ক্লিন-আপ যথেষ্টই কার্যকর।
জেনে নিন কীভাবে বাড়িতেই করবেন ফেস ক্লিন-আপ:
ধাপ ১
হাতের ব্যাকটেরিয়া মুখে যাতে চালান না হয়, তার জন্য সবার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। এরপর ত্বকের সঙ্গে মানানসই ক্লেনজ়ার পরিমাণমতো নিয়ে মুখে লাগিয়ে হালকা বৃত্তাকার গতিতে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ মাসাজের পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমছিদ্রগুলো খুলে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
ধাপ ২
এবার মুখ স্ক্রাব করার পালা। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে জমে যাওয়া ধুলোময়লা, বাড়তি তেল পরিষ্কার হয় ঠিকই কিন্তু ফেসওয়াশ ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে পারে না। তার জন্য দরকার স্ক্রাব। স্ক্রাবের খসখসে দানাদার টেক্সচার কোমলভাবে ত্বকের উপর জমে যাওয়া মৃত কোষ তুলে ফেলে ত্বক উজ্জ্বল আর মসৃণ করে তোলে। সপ্তাহে একদিন মুখ অবশ্যই এক্সফোলিয়েট করুন। তফাতটা বুঝতে পারবেন সঙ্গে সঙ্গেই!
ধাপ ৩
সারা মুখে সমান করে ফেস মাস্ক লাগিয়ে নিন। পাঁচ-সাত মিনিট মুখে ফেস মাস্কটা লাগানো থাকবে। তারপর ঠান্ডা জলের ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা জলই ব্যবহার করবেন, তাতে ত্বকের খোলা রোমছিদ্রগুলো সংকুচিত হয়ে ফের বন্ধ হয়ে যাবে। নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুখ মুছে নিন। তবে একেবারেই ঘষে মুখ মুছবেন না।
ধাপ ৪
একেবারে শেষ ধাপে মুখে ভালো করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই ফেস ক্লিন-আপ রুটিন ফলো করতে পারলে ত্বকের জেল্লা দেখে নিজেই চমকে যাবেন!
No comments