ঘুম কাটাতে চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দেওয়ার কৌশলটি মোটামুটি অব্যর্থ বলেই গণ্য হয়। তাই সকালে বিছানা ছেড়ে ওঠার পর বা অফিসে কাজের ফাঁকে ঘুমে চোখ জড়িয়ে এলে মুখে জলের ঝাপটা দিতেই পারেন। বাইরে থেকে ফেরার পর যখন মুখে তেল, ময়লা ভর্তি অথচ হাতের কাছে সাবান বা ফেস ওয়াশ নেই তখনও জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধোওয়া যায়। কিন্তু বার বার যাঁরা এইভাবে মুখ ধোন, তাঁদের জন্য রইল কয়েকটি সাবধানবাণী।
এক, মুখে তেল-ময়লা থাকলে অবশ্যই জল ঝাপটা দিয়ে মুখ ধোবেন। কিন্তু তার পরেই আপনাকে ত্বকের সঙ্গে মানানসই কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। বার বার মুখ ধোওয়ার ফলে কিন্তু ত্বকের নিজস্ব তেলের ভাঁড়ারে টান ধরবে, তাই ময়েশ্চরাইজ়ারের পরত একেবারে মাস্ট!
দুই, অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে মুখ ধুলে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না এবং ত্বকের ছিদ্রগুলি টাইট থাকে এমন একটা ধারণা প্রচলিত আছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এর অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করে আপনার ত্বকের প্রকৃতির উপর। সবার ত্বক ঠান্ডা জলের স্পর্শে আরামে থাকে না, কারও কারও ত্বকে ভালো কাজ করে ঈষদুষ্ণ জল। আপনার ক্ষেত্রে কোনটি কার্যকর তা বুঝে নিতে হবে।
তিন, ত্বক আর্দ্র রাখতে চাইলে কিন্তু এই টোটকা মোটেই কাজ করবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। যাঁরা খুব ঘামেন, বা ব্রণ হয় বেশি, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা। তাঁরা দিনে দু’-তিনবার মুখ ধুতে পারেন।
চার, ঘুম থেকে ওঠার পর যখন চোখ-মুখ ফুলে থাকে, তখন ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। তাতে পোরগুলির মুখ বন্ধ হবে। ফলে বাড়তি তেল-ময়লা ত্বকে হামলা করতে পারবে না।
পাঁচ, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একবার মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা অবশ্যই দিন। তা হলে আপনার নাইটক্রিম ত্বকের একেবারে গভীরে গিয়ে পৌঁছবে।
No comments