Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ত্বকের যত্নে ফেস মাস্কে যোগ করুন এই উপাদান

এই উপাদান হলো দুধ 
দুধের পুষ্টিগুণ
দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কাঁচা দুধ কতটা উপকারী সেটা জানেন কি? প্রাচীন যুগের রানিরা কিন্তু সে কথা জানতেন, আর তাই পুরোনো দিনের রূপচর্চায় একটা …



এই উপাদান হলো দুধ 


দুধের পুষ্টিগুণ


দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কাঁচা দুধ কতটা উপকারী সেটা জানেন কি? প্রাচীন যুগের রানিরা কিন্তু সে কথা জানতেন, আর তাই পুরোনো দিনের রূপচর্চায় একটা বড়ো অংশ জুড়ে ছিল দুধের ব্যবহার। বলা হয় মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা নাকি দুধে স্নান করতেন, তাই তাঁর ত্বক ছিল মাখনের মতো তুলতুলে। সত্যিই শুষ্ক ত্বক কোমল করতে, গভীর থেকে ত্বক পরিষ্কার রাখতে বা নিখুঁতভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে জুড়ি নেই দুধের। তাই সাপ্তাহিক ফেসপ্যাকে আজ থেকেই যোগ করুন দুধ, আর প্রাচীন যুগের রূপচর্চা পদ্ধতিকে নিয়ে আসুন নিজের নাগালের মধ্যে।


কালীপুজো বা দীপাবলির আগে ত্বকের ভোল বদলাতে আজ থেকেই ব্যবহার করতে শুরু করুন দুধের পুষ্টিতে ভরপুর ফেস মাস্ক!


দুধ আর অ্যাভোকাডোর ফেস মাস্ক

যাঁদের ত্বক রুক্ষ আর বিবর্ণ, তাঁরা অ্যাভোকাডো আর দুধের ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয় এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো ত্বকে আর্দ্রতা আর তেলাভাব জোগায়।


এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে এক টেবিলচামচ দুধ আর চারভাগের একভাগ পাকা অ্যাভোকাডো। অ্যাভোকাডোর টুকরোটা ভালো করে চটকে নিন। একটুও ডেলাভাব যেন না থাকে। এবার ওই মিশ্রণে দুধটা মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। পরিষ্কার মুখে এই পেস্ট চক্রাকারে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। 


দুধ-মধু-ওটমিলের ফেস প্যাক

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে চাইলে বানিয়ে নিন এই মাস্কটি। ত্বকের কোনও ক্ষতি না করেই কোমলভাবে সমস্ত মৃত কোষ তুলে ফেলতে পারবেন মুখ থেকে।


আপনার দরকার এক টেবিলচামচ দুধ, এক চাচামচ মধু আর এক চাচামচ গুঁড়ো করা ওটমিল। একটা বাটিতে সমস্ত উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।


মধু-লেবু-হলুদের ফেস মাস্ক

মুখে যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই প্যাকটি মেখে দেখুন। ব্রণ তো শুকিয়ে যাবেই, দাগছোপও থাকবে না! হলুদ একদিকে অ্যান্টি অক্সিডান্ট এবং অন্যদিকে তার অ্যান্টি-এজিং গুণও রয়েছে। লেবুর রসে আছে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা মুখের বাড়তি তেলাভাব কমিয়ে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।


এই প্যাকটি তৈরি করতে হলে আপনার লাগবে এক টেবিলচামচ দুধ, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো আর আধ চাচামচ লেবুর রস। বাটিতে সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন থকথকে পেস্ট করে নিন। তারপর পরিষ্কার মুখে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কোমল ক্লেনজ়ার আর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

No comments