আমাদের দেশে পর্ন ওয়েবসাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিভিন্ন কলাকৌশলীদের সাহায্যে পর্ন দেখতে সফল হন। কিছুদিন ধরেই একটি জনপ্রিয় পর্ন ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞাপন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, অনেকেই এই বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা শুরু করে দেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটা করা মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জনপ্রিয় পর্ন ওয়েবসাইটে দেখানো একটি বিজ্ঞাপনে দাবী করা হয়েছে যে, পুরুষদের প্রাইভেট পার্টে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে এর দৈর্ঘ্য ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এই বিজ্ঞাপনের তিনটি সংস্করণ এই ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে। হেলথস্প্যানের মেডিকেল ডিরেক্টর ডঃ সারা ব্রুভার দ্য সান ওয়েবসাইটের সাথে আলাপচারিতায় বলেন, অনলাইন এমন অনেক পণ্য রয়েছে, যেগুলো দাবী করে যে তারা পুরুষদের গোপনাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সত্যতা হল, এই ধরণের কোম্পানিগুলো পুরুষদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার সুযোগ নিয়ে এই পণ্যগুলি তৈরি করে। এই কোম্পানিগুলো তাদের মার্কেটিংয়ের সাহায্যে মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে এবং এসব পণ্য কোনও কাজেই আসে না।
ডঃ সারা আরও বলেন, কোন প্রকার ক্রিম লাগিয়ে বা কোন ভেষজ সম্পূরক গ্রহণ করে প্রাইভেট পার্টের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কোন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিডিক। এর ব্যবহার জ্বালা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং সংবেদনশীল এলাকায় এটি প্রয়োগ করা উচিৎ নয়। এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগেও অ্যাপল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। এর আগে, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ইরেকটাইল ডিসফাংশনের কার্যকর প্রতিকার হিসেবেও প্রচার করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা থেকে এর ব্যবহার মুক্তি পাওয়া যায়। একটি মেডিক্যাল নিউজ রিপোর্ট অনুসারে, এই গবেষণাটি খুব ছোট নমুনা দিয়ে করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফলাফল ভুল ছিল কারণ অস্থিরতা এবং চাপের মতো জটিল কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা হয় এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এই সমস্যাগুলি উপশম করতে কার্যকর নয়।
ডঃ সারা বলেন, 'যদি একজন ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গের আকার সম্পর্কে খুব চিন্তিত হন, তাহলে তার উচিৎ একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। যেহেতু সেক্স সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলা এখনও একপ্রকার ট্যাবু বলে মনে করা হয়, সেজন্য অনেক কোম্পানি এর সুবিধা নেয়। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের বিষয় নিয়ে প্রচুর ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'মানুষের উচিৎ এইসকল ভুয়ো খবরে প্রভাবিত না হওয়া এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে মনোনিবেশ করা। এর মধ্যে রয়েছে ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি। এর পরেও, যদি কোনও ব্যক্তির সমস্যা হয়, তবে তিনি নিজের সমস্যাগুলি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন।'
No comments