Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মোদী শাহ নাড্ডাকে দল ছাড়ার হুমকি দিল বহু বিজেপি সাংসদ বিধায়ক ও নেতারা! ভিডিওটি দেখুন

কতটা ল্যাজে গোবরে হলে পাশ করা আইন প্রত্যাহার করতে হয় মোদী শাহ সরকারকে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী তিন বছরে উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচন । ক্ষমতা ধরে রাখতে মোদী শাহ তাই পিছু হটতে বাধ্য হলেন। অভিমত…

 



কতটা ল্যাজে গোবরে হলে পাশ করা আইন প্রত্যাহার করতে হয় মোদী শাহ সরকারকে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী তিন বছরে উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচন । ক্ষমতা ধরে রাখতে মোদী শাহ তাই পিছু হটতে বাধ্য হলেন। অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। 



মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া মোদীর শাসকের 20 বছরে এই প্রথম ক্ষমা চেয়ে আইন প্রত্যাহার করলেন। 

অথচ প্রত্যাহার করা আইন লাগু হলে দেশের 90 শতাংশের কৃষক লাভবান হতেন। কারণ পরিসংখ্যান বলছে কম বেশি 90শতাংশ কৃষকের জমির পরিমাণ দুই হেক্টর বা তার কম জমি রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র 10 শতাংশ কৃষকদের আন্দোলনে পিছু হঠতে হল মোদী শাহকে। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন এই 10 শতাংশ কৃষকের কাছে কার্যত মাথা নত করে থাকতে হয়েছে অতীতের সরকারগুলোকে। শক্তিশালী সরকারকেও হার মানতে হল। 


হারের কারণ হিসাবে 10শতাংশ বুর্জোয়া কৃষকদের থেকে বেশি দায়ী দেশের বিজেপি নেতৃত্বের। কৃষকদের একাধিক স্কিম দিয়েও গরীব কৃষকদের বুর্জোয়া কৃষকদের থেকে আলাদা করতে পারেনি বিজেপি সংগঠন। বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকারের দাম্ভিক নেতা মন্ত্রী ও সংগঠন সদস্যরা। 

কেন দাম্ভিক? বিজেপি নেতারা মনে করেন দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশ মনে করে যেভাবে ইসলামীক শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে তাতে করে বিজেপির বিকল্প বিজেপিই। ফলে জনগণ বাধ্য হবে বিজেপি সরকার গড়তে ভোট দিতে। 

বিজেপি সংগঠন সদস্যরা ভুলে গিয়েছিল বুর্জোয়ারাই সমাজের গরীবদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এমনকি বিজেপি দলে আভ্যন্তরীণ বিরোধ দূর্নীতি চুড়ান্ত। 

বাংলার দিকে তাকালে ছবিটা পরিস্কার হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের প্রধান সুকান্ত মজুমদার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি গঠনের জন্য তালিকা নিয়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। 

তিন দিনে একাধিকবার নাম পরিবর্তন করেও সিলমোহর পাননি তিনি। শেষমেষ একটা তালিকা দিয়ে সুকান্ত বাবু জানিয়েছেন এটাই তার তরফে দেওয়া শেষ তালিকা। পছন্দ না হলে তাকে যেন রাজ্যসভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। কারণ তার ওপর রয়েছে বিরাট চাপ। 

কিসের চাপ? বিজেপি সূত্রের খবর, বাংলার অধিকাংশ সাংসদ বিধায়ক চাইছে তাদের কাছের লোকেরা জেলা সভাপতি থেকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেন বসানো হয়। এমনকি পাশাপাশি দুই জেলা সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে এক জন আরেক জনের বিরোধীতা করতে গিয়ে নব্য বিজেপি কিংবা বিরোধী দলেরপাঠানো চরকে যেন বসানো হয়। এক্ষেত্রে চলছে নানা ধরণের লেনদেন। 


বঙ্গ বিজেপিতে নেতা নেই। কর্মী নেই। রাজনৈতিক শিক্ষা থাকা মানুষ নেই। বঙ্গে কোন অদূর ভবিষ্যতে বিজেপি আসবে তার ঠিক নেই অথচ পদ নিয়ে এত দূর্নীতি।সূত্রের খবর, সাংসদ বিধায়করা রাজ্যসভাপতিকে পরিস্কার টাইম লাইন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের লোককে সাংগঠনিক পদে না বসালে তারা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেবেন। এমন নানা জটিল কারণ সমীকরণের সমস্যায় জেরবার বিজেপি। 

দিল্লি হোক কিংবা কলকাতা সর্বত্র বিজেপির ল্যাজে গোবরে দশা।

No comments