কোভিড ১৯ লকডাউনের সময় ক্রিকেটারদের মধ্যে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশন চলছিল। এমনই একটি লাইভ সেশনের জন্য প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংকে খেসারত হয়েছিল। এই বছরের শুরুর দিকে, রোহিত শর্মার সাথে একটি লাইভ সেশনের সময়, যুবরাজ চাহালকে 'ভাঙ্গি' বলে সম্বোধন করেছিলেন। এই লাইভ সেশনের পরে, সহকর্মী লেগ স্পিনার সম্পর্কে বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য হানসিতে যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
রাজি কলসান, হানসি থেকে, আইভিসি এবং এসসি/এসটি আইনের অধীনে যুবরাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। কলসান দাবি করেছিলেন যে যুবরাজের মন্তব্যটি যথাযথ নয় এবং এগুলো বিচারের আওতায় আসা উচিত। পরবর্তীতে, যুবরাজও আদালতের আদেশ অনুসারে তদন্তে সাহায্য করেন।
ট্রিবিউনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবরাজ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে শীঘ্রই তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এসপি বলেছিলেন যে গ্রেফতারের পর তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ ইতিমধ্যেই ক্রিকেটারের ফোন উদ্ধার করেছে।
এই বিখ্যাত প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগের অধীনে মামলা করা হয়েছিল: আইপিসির ধারা 153A এবং 153 B এবং SC/ST আইনের ধারা 3 (1) (u)।
যুজবেন্দ্র চাহাল সম্পর্কে "বিতর্কিত" মন্তব্যের
ঘটনাটি ঘটেছিল যখন যুবী এবং রোহিত শর্মা লাইভ স্ট্রীমে ছিলেন। যুবী বললেন, “এইসব ভাঙ্গিদের কোনো কাজ নেই। যুবী দেখেছে কিসব ভিডিও দিয়েছে নিজের পরিবারের সাথে।" এরপর পরেই যুবরাজের বিরুদ্ধে টুইটারে কয়েকটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছিল।
যাইহোক, যুবরাজ সিং একই বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন।
যুবরাজ নিশ্চিত করেছেন যে তিনি কারও অনুভূতিতে আঘাত করতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, “এটা স্পষ্ট করা দরকার যে, আমি কখনই কোনো ধরনের বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি, সেটা জাতি, বর্ণ, ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতেই হোক না কেন। আমি মানুষের কল্যাণের জন্য আমার জীবন ব্যয় করেছি এবং চালিয়ে যাচ্ছি। আমি জীবনের মর্যাদায় বিশ্বাস করি এবং কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই প্রত্যেক ব্যক্তিকে সম্মান করি।"
No comments