দেশীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে যে প্রশান্ত মহাসাগরকে প্রভাবিত করে লা নিনা পরিস্থিতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিরে আসতে পারে। বৈশ্বিক আবহাওয়া সম্পর্কিত লা নিনা অবস্থার কারণে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মৌসুমী বৃষ্টি এবং তীব্র শীত পড়তে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে লা নিনার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
শেষবার লা নিনা গঠিত হয়েছিল আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত। দেশে গতবার লা নিনার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল এবং শীতের শুরুটা হয়েছিল তাড়াতাড়ি। সেইসঙ্গে তীব্র শীতও পড়েছিল।
জুলাই মাসের এল নিনো সাউথার্ন অসিলেশন বুলেটিনে আইএমডি পুনে জানিয়েছে, বর্তমানে নিরপেক্ষ এল নিনো সাউথার্ন অসিলেশন পরিস্থিতি নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে বিরাজ করছে। জানা গিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মৌসুম পর্যন্ত নিরপেক্ষ এল নিনো সাউথার্ন অসিলেশন অবস্থা থাকতে পারে। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে তাপমাত্রা শীতল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি করবে।
জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসনের জলবায়ু পূর্বাভাস কেন্দ্র জুলাই মাসে বলেছিল যে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা ২০২১-২২ সালের শীতকালে কার্যকর থাকবে। শীত মৌসুম সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে থাকে।
আইএমডির ক্লাইমেট মনিটরিং অ্যান্ড প্রেডিকশন গ্রুপের প্রধান ওপি শ্রীজিৎ বলেন, “আমাদের এমএমসিএফএস মডেল সেপ্টেম্বর থেকে লা নিনার উচ্চ সম্ভাবনা দেখায়। বৃষ্টিতে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু,এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি না যে এটি আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে বর্ষার অবস্থাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে।
তিনি বলেছিলেন, আইএমডি শীঘ্রই আগস্টের জন্য মৌসুমী অবস্থার বিষয়ে পূর্বাভাস দেবে। দেশে উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় মৌসুমির ওপর লা নিনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটিও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আইএমডি ক্লাইমেট রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেসের প্রধান ডিএস পাই বলেছেন, বর্ষার শেষের দিকে লা নিনার পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই বন্যার মতো অবস্থার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তিনি আরও বলেছেন, লা নিনা বছরগুলিতে আমরা সাধারণত মেঘলা আকাশের কারণে অনেক ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভব করি।
আইএমডিতে সাইক্লোন বিভাগের দায়িত্বে থাকা সুনিতা দেবী বলেছেন, “সেপ্টেম্বরে লা নিনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা বর্ষার শেষের দিক। অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে যে লা নিনা বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। লা নিনার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পশ্চিম দিকে সরে যায়।
No comments