ভারতে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি এমন একটি রোগ যা একবার এটি হয়ে গেলে এটি কখনই নিরাময় হয় না, আপনি কেবল ওষুধ, জীবনধারা এবং ডায়েটরি পরিবর্তনের সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। ডায়াবেটিসে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস জেনেটিক হওয়ার পাশাপাশি এটির মাত্রা বৃদ্ধির কারণে, স্থূলত্ব এবং স্ট্রেসেরও কারণ হতে পারে। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় তবে পরে এটি হৃদয়, মস্তিষ্ক, কিডনি, চোখ, পায়ের মতো অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের ডায়েট এবং জীবনযাত্রার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ।
এই রোগে রোগীর তার ডায়েটে টাটকা ফল, সবুজ শাকসবজি এবং পুরো শস্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এর বাইরেও এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যা আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
করলার রস :
তিতা করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়, এটি সকলেই জানেন। এটি প্রস্রাব এবং রক্তে থাকা চিনি নিয়ন্ত্রণ করে। এর সাথে সাথে এটি পেটের অনেক রোগ থেকেও মুক্তি দেয়।
শসার রস :
শসাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি ১, ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই রস শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না, তা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং তাপ, সংক্রমণ, প্রদাহ এবং বাতকে হ্রাস করার মতো সমস্যায়ও উপকারী।
নারিকেল জল :
নারকেলের জল এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেকের গ্রীষ্মে প্রতিদিন পান করা উচিৎ। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-সি, সোডিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ জাতীয় উপাদানগুলি নারকেলগুলিতেও পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
গ্রীন-টি :
গ্রিন টি যেভাবেই পান করুন এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। গ্রিন-টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনাকে বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি কেবল ডায়াবেটিসের জন্যই নয় হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
No comments