Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শুনলে অবাক হবেন,ভারতের এই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় সোনা-রুপা এবং গহনা

ভারতে অনেক মন্দির রয়েছে, যা নানান কারনে খুব রহস্যজনক। কিছু মন্দির তাদের নকশার জন্য বিখ্যাত, কেউ তাদের গল্পের জন্য এবং কেউ তাদের নৈবেদ্যগুলির জন্য বিখ্যাত। এই মন্দিরগুলিতে এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যা এগুলিকে অন্যদের থেকে আলাদা ক…

 



ভারতে অনেক মন্দির রয়েছে, যা নানান কারনে খুব রহস্যজনক। কিছু মন্দির তাদের নকশার জন্য বিখ্যাত, কেউ তাদের গল্পের জন্য এবং কেউ তাদের নৈবেদ্যগুলির জন্য বিখ্যাত। এই মন্দিরগুলিতে এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যা এগুলিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। এমনই একটি মন্দির মধ্য প্রদেশের রতলাম জেলায় রয়েছে। এই মন্দিরটি মা লক্ষ্মীর মন্দির। আপনি যদি ঈশ্বরীয় ভক্তি ও আধ্যাত্মিক ভক্তির উপাসক হন, তবে আপনাকে অবশ্যই একবার এই মন্দিরটি ঘুরে দেখতে হবে।


এই মন্দিরটি বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ । সাধারণত, মন্দিরে ভক্তদের মিষ্টি বা অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হয়। তবে দেবী লক্ষীর এই মন্দিরে ভক্তদের নৈবেদ্য হিসাবে সোনা-রূপ এবং গহনা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরে আগত ভক্তদের জন্য প্রসাদ হিসাবে সোনা ও রুপার মুদ্রাও দেওয়া যায়।


প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত মাকে দেখতে এই অনন্য মন্দিরে যান। এখানে আসা ভক্তরা মায়ের চরণে সোনা ও রুপার অলঙ্কার দেন। এই মন্দিরটিতে দীপাবলির সময় খুব ভিড় হয়। ধনতেরাস থেকে পাঁচ দিন ধরে এই অনন্য মন্দিরে দীপোৎসবের আয়োজন করা হয়। পাঁচ দিনে মাকে ভক্তদের দেওয়া গহনা এবং অর্থ দিয়ে সাজানো হয়।



দীপাবলির দিন মন্দিরের দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। কথিত আছে যে, এই সময়ে মায়ের দর্শনের কারণে ঘরে কখনও ধন-সম্পদের ঘাটতি হয় না। দীপাবলির সময় এই মন্দিরটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এই মন্দিরে আসা ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূর্ণ হয়। কথিত আছে যে আজও দেবী লক্ষী বাস করেন এখানে।



দেবী লক্ষীর এই মন্দিরে কয়েক দশক ধরে গহনা এবং অর্থের প্রসাদ দেওয়ার রীতি রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হ,য় যে রাজা তার রাজ্যের সমৃদ্ধির জন্য এখানে অর্থের প্রসাদ দিতেন। সেই থেকে এখানে আসা ভক্তদের সোনা-রুপা এবং গহনা দেওয়া হয়। কথিত আছে যে এর সাথে মায়ের আশীর্বাদ সর্বদা তাঁর ভক্তদের উপর থাকে।

No comments