Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পিসিওএস-এর সমস্যা কমাতে এই খাবারগুলি ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত করুন

জীবনযাপনে কিছু ভুল পদ্ধতির ফলেই পিসিওএস’এর মতো অসুখের এখন বাড়বা়ড়ন্ত, এমনটাই মত চিকিৎসকদের। এই অসুখে সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় মেয়েদের। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ডিম্বাসয়ের চার পাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়।এই…





জীবনযাপনে কিছু ভুল পদ্ধতির ফলেই পিসিওএস’এর মতো অসুখের এখন বাড়বা়ড়ন্ত, এমনটাই মত চিকিৎসকদের। এই অসুখে সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় মেয়েদের। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ডিম্বাসয়ের চার পাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়।

এই রোগের কারণে ৫০ শতাংশ মেয়েরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। মেদ বেড়ে যায় সহজেই, শরীরে লোম বেশি দেখা যায়, মাথায় চুল উঠে টাক পড়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। পাশাপাশি চোখে পড়ে খুব বেশি মাত্রায় সিস্টের সমস্যা।পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম থাকে মেয়েদের শরীরে সাধারণত ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকে। কিংবা তা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও তা ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে রক্তে শর্করা মাত্রা অত্যাধিক বেশি হয়ে পড়ে। তার থেকে ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে।



ডায়েট মানা কেন জরুরি


পিসিওএস বা পিসিওডি থাকলে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণ হলে ঋতুস্রাবও ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে যাবে এবং এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা ভাল তাঁর একটা স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেলে আপনারই ডায়েট তৈরি করতে সুবিধা হবে। এই বিষয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘পিসিওএস থাকলে হাই ফাইবার, লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে। মানে ভাত-রুটির মতো 

কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে শাক-সব্জি, ডাল এগুলো বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। তবে তাতেও কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেমন মাটির তলার সব্জি যেমন আলু, শাঁকালু, গাজর, বিট একটু কম খাওয়াই ভাল। ফলের মধ্যে আম, কলা, লিচু আর আঙুর বাদে যে কোনও ফল ফেতে পারেন। কিন্তু এই চারটে ফলে কার্বোহাড্রেট বেশি, তাই এড়িয়ে চলাই ভাল।’’


তিনি মনে করিয়ে দিলেন পিসিওএস থাকলে ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড, প্রসেস করা খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট, পাউরুটি, বার্গার, ময়দার জিনিস, সসেজ, সালামির মতো খাবারও ডায়েট থেকে বাদ রাখতে হবে। মিষ্টি, আইসক্রিম, বোতলের ঠান্ডা পানীয় জাতীয় যত কম খাওয়া যায়, তত ভাল।


তা হলে কী খাওয়া যাবে


রেড মিটের বদলে চিকেন খান। মাছ খুব ভাল লিন প্রোটিন। ডিম চলতে পারে। ডাল খেতে পারেন। নানা রকম বীজ খাওয়া যেতে পারে যেমন চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।


হাই ফাইবার যুক্ত সব্জি খান যেমন ফুলকপি, ব্রকোলি, লেটুস পাতা, কুমড়ো, বিন ইত্যাদি।


আমন্ড, আখরোট, যে কোনও ধরনের বেরি, শসা, টমেটো, আপেল, নানা রকম লেবু খেতে পারেন।


অলিভ অয়েল বা যে কোনও খাঁটি তেল ব্যবহার করতে পারেন রান্নার জন্য। চকোলেটের বদলে ডার্ক চকোলেট এক টুকরো করে চলতে পারে মাঝেমাঝে।


আটা-ময়দার বদলে রাগি, জোয়ার, বাজরার মতো অন্য শস্যগুলো চেখে দেখতে পারেন। তবে দু’বেলা ভাত-রুটি কম করে শব্জি বা স্যালাদ খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।


স্যাচুরে়টেড ফ্যাটের বদলে সব সময়ে গুড ফ্যাট বেছে নিন। যেমন দিনে অল্প করে ঘি খেতে পারেন। পি-নাট বাটার বা আমন্ড বাটারের মতো বাদাম থেকে তৈরি মাখন ব্যবহার করতে পারেন পাঁউরুটিতে।

No comments