মুখে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে আমরা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করি। এর মধ্যে ফেসিয়ালও এমন একটি উপায়, যার দ্বারা ত্বক গভীর পরিষ্কার হয়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মাঝে মাঝে তারা ফেসিয়াল করার পর মুখে ব্রণ হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভ্রান্ত হয় যে কোন ফেসিয়ালটি মুখে করতে হবে? আপনাকে ধাপে ধাপে বলছি কিভাবে বাড়িতে গ্রিন টি ফেসিয়াল করতে হয়।
মুখ পরিষ্কার করার জন্য-
এক ব্যাগ গ্রিন টি জলে সারারাত ডুবিয়ে রাখুন।
সকালে এই জল একটি বোতলে ভরে নিন।এই জল দিয়ে আপনি অনেক সৌন্দর্য পণ্য তৈরি করতে পারেন।
এবার একটি বাটিতে দই নিন এবং তাতে গ্রিন টি যোগ করুন।
এবার এই মিশ্রণে লেবুর রস যোগ করুন।
এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
মুখ ধোয়ার জন্য শুধু ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।
যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে আপনার খোলা ত্বকের ছিদ্রের সমস্যা হবে, তাই শুধুমাত্র ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। এটি ছিদ্রের আকার হ্রাস করে ।
ফেস স্ক্রাব তৈরি করবেন -
একটি পাত্রে গ্রিন টি এবং কফির গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ ও ঘাড় স্ক্রাব করুন ২ মিনিট।
তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টির সঙ্গে কফি মিশিয়ে মুখ ঘষলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে এবং মৃত ত্বকও দূর হয়।
তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফেসিয়াল বাষ্প কিভাবে করবেন
- একটি গ্রিন টি ব্যাগ জলে রেখে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন।
এখন এই জল দিয়ে মুখে বাষ্প নিন।
৫ মিনিটের বেশি মুখে বাষ্প গ্রহণ করবেন না।
এর পর তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
মুখের বাষ্প গ্রহণের ফলে ত্বকের ছিদ্রের ময়লা বেরিয়ে আসে এবং ত্বক গভীর পরিষ্কার হয়ে যায়।
যেভাবে মুখ ম্যাসাজ করবেন
- একটি বাটিতে দুধ, গ্রিন টি এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এবার এটি দিয়ে ত্বকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
ফেস প্যাক তৈরি করবেন
- একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল এবং গ্রিন টি মিশিয়ে নিন।
এখন এই তৈরি গ্রিন টি ফেস প্যাক মুখে লাগান।
১৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করুন।
ফেস টোনিং এর জন্য
- একটি স্প্রে বোতলে গ্রিন টি, গোলাপ জল এবং লেবুর রস দিন।
তারপর এটি ভালভাবে ঝাঁকান এবং ফ্রিজে ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য সংরক্ষণ করুন।
ফেসিয়াল শেষ হওয়ার পর এই টোনার ব্যবহার করুন।
No comments