জেসমিন ওগুবডেদ নামে পরিচিত যুবতী বলেছেন যে ১৫ বছর আগে তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিলেন তখন থেকে তার চুল পড়া শুরু হয়েছিল।তিনি তখন থেকেই এই অবস্থার সঙ্গে লড়াই করে চলছেন। জেসমিনের এই অবস্থায়কে চিকিৎসা ভাষায় 'অ্যালোপেসিয়া টোটালিস' বলে।
জেসমিন বলেছেন তার মাথায় চুল না থাকার কারণে তাকে লোকেরা প্রচুর নামেই ডাকে, তিনি আরও বলেছিলেন যে চুল না থাকায় কিছু লোক তাকে ডাইনিও বলেছিল।
বিয়ের কয়েক দিন আগে জেসমিনের বিয়েটি কীভাবে ভেঙে যায়।তার মতে তার প্রেমিক এমন একজন ছেলে ছিলেন যিনি সর্বদা মায়ের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন, তাই সে ছেলের আগে তার মাকে তার অবস্থার কথা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ছেলের মা তার এই গোপনীয়তাটি কেবলমাত্র মেয়েদের মধ্যেই রাখতে রাজি হন কিন্ত তার শর্তেও তিনি বিয়েটি বাতিল করে দেন। জেসমিন বলেছিল যে তার প্রাক্তন প্রেমিকের বোনরা সর্বদা তাকে দেখে হাসি ঠাট্টা করত এবং সত্য সম্পর্কে অজানা যে লোকটি তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, তার মা সত্যটি জানার পর বিয়েটি ভেঙে দেন।
জেসমিন আরও জানাল যে কীভাবে তিনি দৈনন্দিন জীবনে তার এই পরিস্থিতিটির সঙ্গে লড়াই করছেন, তিনি বলেছিলেন যে যখনই তিনি বাইরে যান তখন অপ্রয়োজনীয় মনোযোগ এড়াতে সাধারণত নকল চুল ব্যবহার করেন।
অ্যালোপেসিয়া সম্পর্কে লোকেদের সচেতন করতে এবং অ্যালোপেসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কলঙ্ক কমিয়ে আনতে জেসমিন হিরোইক্স অ্যালোপেসিয়া ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা শুরু করেছেন। ফাউন্ডেশন চালানো ছাড়াও জেসমিন একজন সৃজনশীল শিল্পী এবং টেক্সটাইল ডিজাইনার।
No comments