Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ফোঁড়ার ব্যথা কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায় জেনে নিন

ফোড়া শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে, যেমন মুখমণ্ডলে, মুখে, দাঁতে, তাছাড়া কিডনি বা পেট ইত্যাদি অঙ্গগুলোতেও হতে পারে। তবে ত্বকের ফোঁড়াই হলো সবচেয়ে সাধারণ।
কেন ফোড়া হয়?
ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সূক্ষ্ম-জীব (মাইক্রো-অরগানিজম) যেমন- ভাইরা…




ফোড়া শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে, যেমন মুখমণ্ডলে, মুখে, দাঁতে, তাছাড়া কিডনি বা পেট ইত্যাদি অঙ্গগুলোতেও হতে পারে। তবে ত্বকের ফোঁড়াই হলো সবচেয়ে সাধারণ।


কেন ফোড়া হয়?


ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সূক্ষ্ম-জীব (মাইক্রো-অরগানিজম) যেমন- ভাইরাস, ছত্রাক এবং প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হয়ে থাকে। শরীরের কোন অঙ্গে বাইরের কোনো জীবাণু ঢুকেও ফোঁড়া সৃষ্টি করতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম; তাদের ফোঁড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।



ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে ফোড়ার ব্যথা কমাবেন


১. গরম ভাঁপ: ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিলে ওই স্থানে রক্ত সঞ্চারনের পরিমাণ বাড়বে। ফোড়ার ব্যথার শুরু থেকেই গরম ভাঁপ নেওয়া শুরু করলে দ্রুত ব্যথা কমবে। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে ৩-৪ বার ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিন।


২. হলুদ গুঁড়ো: এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এসব বৈশিষ্ট্য ফোঁড়ার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। এজন্য এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে জল বা সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে ফোঁড়ার স্থানে ব্যবহার করলে উপকার মিলবে। প্রতিদিন অন্তত ৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।


৩. ইপসোম লবণ: এই লবণের কার্যকারিতা অনেক। ফোঁড়ার ব্যথা এবং এটি শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে লবণ। ফোঁড়ার পুঁজ শুকিয়ে নেয় ইপসোম লবণ। এজন্য গরম পানিতে ইপসোম লবণ মিশিয়ে ফোঁড়ার স্থানে কটনপ্যাডের সাহায্যে ব্যবহার করুন। দিনে অন্তত ৩ বার করে ২০ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে এই লবণ জল ব্যবহার করুন।



৪. ক্যাস্টর অয়েল: সাধারণত চুল ঘন করতে ব্যবহৃত হয় ক্যাস্টর অয়েল। জানেন কি, এই তেলে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা ফোঁড়া সারাতে দুর্দান্ত কাজ করে। ফোঁড়া না পাকা অব্দি প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করুন। ব্যথামুক্ত থাকবেন এবং দ্রুত পেকে ফোঁড়ার ঘা শুকিয়ে যাবে।


৫. নিম তেল: এই তেলে আছে অ্যান্টি-সেপটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যসমূহ। যা ফোঁড়াসহ ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। দিনে ৩-৪ বার নিম তেল ফোঁড়ার স্থানে ব্যবহার করলে ব্যথাও কমবে এবং ঘা শুকাবে দ্রুত।

No comments