চীন তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলি নিয়ে মহাকাশ গবেষণার দিকে জোর দিচ্ছে। বেইজিং তার খাদ্য সুরক্ষা জোরদার করার জন্য চ্যাং - ৫ মিশনে চাঁদের যাত্রা থেকে ফিরে ধানের বীজ দিয়ে চাষ করার অনুমতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা ৪০ গ্রাম বীজ থেকে ধান চাষ শুরু করেছেন। তারা এখন সারা দেশে চাষের জন্য গৃহীত সেরা জাতের বীজ সনাক্ত করতে ব্যস্ত। চীনের বিশাল জনসংখ্যা এবং ভোগ্যপণ্যগুলির চাহিদা থাকায় খাদ্য সুরক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
চীনা প্রশাসন চাঁদ থেকে ফিরে আনা এই ধানের নাম দিয়েছে 'স্বর্গ থেকে আসা চাল'। এই বীজগুলি গত নভেম্বর মাসে ৭,৬০,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভ্রমণ করেছিল এবং চীনের চাং -৫ এ ২৩ দিনের যাত্রার পর ১৭ ডিসেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসে। দক্ষিণ চীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসসিএইউ) প্ল্যান্ট স্পেস ব্রিডিংয়ের জাতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা কেন্দ্রে চারাগুলো বড়ো হয়েছে।
ভ্রমণের সময় বীজগুলি মহাজাগতিক বিকিরণ এবং শূন্য মাধ্যাকর্ষণ ছাড়াও হিংস্র সানস্পট ক্রিয়াকলাপের সংস্পর্শে আসে। চীনা গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এর মধ্যে কিছু বীজ পরিবর্তিত হতে পারে এবং উচ্চ ফলন এবং ভাল মানের ফসল উৎপাদন করতে পারে। গবেষণা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক গুও টাও চীনের সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, পরীক্ষাগারগুলিতে বীজ থেকে চারা বের হলে সেগুলি ক্ষেতে রোপণ করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, এই প্রক্রিয়াটি নতুন জাতের ধানের প্রবর্তন করবে । যা চীনে শস্য উৎপাদন বাড়িয়ে তুলবে, প্রজনন শিল্পের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কেবল উচ্চ-ফলনশীল, উচ্চ-মানের জাতগুলি যা রোগ প্রতিরোধী হিসাবে প্রমাণিত হয় তা সরকারীভাবে স্থিতিশীল জাত হিসাবে স্বীকৃত হবে। এরপরে এগুলি বৃহৎ আকারে মোতায়েন করা হবে এবং হাজার হাজার বাড়িতে সরবরাহ করা হবে।
No comments