মানব অঙ্গ পাচারের একটি বড় চক্র ফাঁস হল । অসমের লোকজনকে কলকাতায় আনা হয় এবং তাদের দেহ থেকে কিডনি সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই কিডনি অন্য কোথাও পাচার করা হত। তবে এখন কলকাতায় কিডনি পাচারের চক্রটি গুপ্তচরদের নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
লকডাউনে কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিদের কিডনি বিক্রি করতে রাজি করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, অসমের ধারামতুল গ্রামের ১২ জন কিডনি বিক্রি করেছেন।
দারিদ্র্যতার থেকে বাঁচতে খুবই অল্প টাকায় নিজেদের কিডনি বিক্রি করেন গ্রামবাসী। এই ঘটনাটি গত এক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়ছে। পুলিশ জানতে পারে তারা করোনায় চলমান লকডাউনে পরিবার চালানোর জন্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে তাদের কিডনি বিক্রি করেছিলেন।
৩৬ বছর বয়সী রাজমিস্ত্রি সুমন্ত দাস গত বছর লকডাউনে চাকরি হারিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ছেলে মারাত্মক অসুস্থ ছিল। আমার হাতে কোনও কাজ ছিল না। আমি ছেলের হার্ট অপারেশনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে কিডনি বিক্রি করি। একটি কিডনির জন্য আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি পেয়েছি মাত্র দেড় লাখ টাকা। তিনি বাকী টাকা পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে কিডনি বিক্রি করার পরে সুমন্ত দাস আর বেশি ভারী কাজ করতে পারবে না।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ধারামতুল গ্রামটি মানব অঙ্গ চোরাচালানের কেন্দ্র। স্থানীয় ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি সদস্যরা এই চক্রটি সনাক্ত করেন। গ্রামের এক মহিলা এবং তার ছেলের কিডনি বিক্রির জন্য যখন চুক্তি করছিলেন তখন ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি জানতে পারে। পুলিশকে তথ্য দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে ১২ টি কিডনি বিক্রির তথ্য পুলিশ পেয়েছে। বারোজনকে প্রতিশ্রুতি অনুসারে অর্থ প্রদান করা হয়নি।
মরিগাঁ জেলা পুলিশ সুপার অপর্ণা নটরঞ্জন বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে বেশ কয়েকটি কিডনি দাতাকে পাওয়া গেছে। যদিও এই চক্রের মূল পান্ডাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
No comments