পূজা যাদব হরিয়ানা থেকেই প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন। এর পরে তিনি বায়োটেকনোলজি এবং ফুড টেকনোলজিতে এম.টেক করেন। এমটেক করার পরে তিনি কয়েক বছর কানাডা এবং জার্মানিতে কাজ করেছিলেন।
ইউপিএসসি পাঠশালার প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েক বছর কানাডা এবং জার্মানিতে কাজ করার পরে, পূজা যাদব বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারতের উন্নয়নের পরিবর্তে তিনি অন্য একটি দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। এর পরে তিনি চাকরি ছেড়ে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পূজা যাদব চাকুরী ছেড়ে ইউপিএসসির প্রস্তুতি শুরু করেন, কিন্তু প্রথম প্রচেষ্টাতেই তিনি সাফল্য পাননি। এর পরে, তিনি দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সাফল্য পান এবং ২০১৮ ক্যাডারের আইপিএস নিযুক্ত হন।
পূজা যাদব প্রথমে এম.টেক করেছিলেন এবং তারপরে বিদেশে চাকুরী ছেড়ে আইপিএস অফিসার হয়েছেন, তবে তাঁর পক্ষে এই যাত্রা এত সহজ ছিল না। পূজার পরিবার আর্থিকভাবে তেমন ভাল ছিল না এবং এর কারণে তাকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
পূজা যাদবকে সবসময় তার পরিবার সমর্থন করত, তবে তাকে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এম.টেক করার সময় এবং ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় তিনি টাকার জন্য অনেক কিছুই করেছিলেন। পূজা কখনও বাচ্চাদের টিউশন পড়াতেন, আবার কখনও রিসেপশনিস্ট হিসাবে কাজ করতেন।
পূজা যাদব বিশ্বাস করেন, 'ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া হতে পারে। আপনি মাঝে মাঝে হতাশ বোধও করতে পারেন, তবে এগুলো নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই। আপনার প্রস্তুতির পাশাপাশি আপনার শখগুলিকে সময় দেওয়া দরকার, এটির মাধ্যমে আপনি আপনার মনকে সতেজ রাখতে সক্ষম হবেন এবং আপনার আউটপুট আরও ভাল হবে।
ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণকারী মহিলা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে পূজা যাদব বলেন, "সমাজ আপনাকে সময়ে সময়ে 'ডিমটিভেট' করতে পারে, তবে আপনার মনোযোগ যেন নষ্ট না হয়। একবার আপনি পরীক্ষাটি ক্লিয়ার করলে তারপরে কোনও বৈষম্য হয় না এবং সবাইকে সমান চোখে দেখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূজা যাদব এই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আইএএস বিকাল্প ভরদ্বাজকে বিয়ে করেছেন। দু'জনের দেখা হয়েছিল মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় প্রশাসন একাডেমিতে। পূজার স্বামী বিকাল্প ২০১৬ ব্যাচের এবং তিনি কেরালার ক্যাডারের কর্মকর্তা, কিন্তু বিয়ের পরে তিনি গুজরাত ক্যাডারে স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
পূজা যাদব সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বেশ সক্রিয় এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় আড়াই লাখ ফলোয়ার রয়েছে তার। তিনি বিশ্বাস করেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া জনসাধারণের সাথে কথাবার্তা এবং তাদের মতামত প্রকাশের চেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম আর নেই, যা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে পারে।
No comments