Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অতিরিক্ত আম খেলে বাড়তে পারে বিপদ! জেনে নিন নিরাপদ থাকার উপায়

এখন আমের মৌসুম। সবার ঘরই এখন আমের গন্ধে ম ম করছে! ফলের রাজা আম খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। আমে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফল কী হতে পারে? বা প্রতিদিন কতটুকু আম খাওয়া নিরাপদ?বিশে…






এখন আমের মৌসুম। সবার ঘরই এখন আমের গন্ধে ম ম করছে! ফলের রাজা আম খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। আমে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফল কী হতে পারে? বা প্রতিদিন কতটুকু আম খাওয়া নিরাপদ?বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিসসহ ওজন বেড়ে যাওয়া বদহজম, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে, জেনে নিন সেগুলো-


যেহেতু আমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি; তাই এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তবে আপনাকে অবশ্যই আম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


স্বাদের কারণে অনেকেই একের পর এক আম খাওয়া শুরু করেন। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়া ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। আম প্রচুর পরিমাণে আঁশসমৃদ্ধ, যা অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।আমের মধ্যে ইউরিশিয়াল নামক একটি রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিক অনেকের শরীরেই অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে চর্মরোগ দেখা দেয়। এই রাসায়নিকের ফলে ত্বকের সমস্যা যেমন- ত্বক ফুলে ওঠা, ফোস্কা এবং চুলকানি হতে পারে।


আম অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এর ফলে চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আম খাওয়ার পরে এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


 অতিরিক্ত আম খেলে বদহজম হতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা আম বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।


 ফলের রাজা আমে ক্যালোরির পরিমাণও বেশি। যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। একটি মাঝারি আকারের আমের মধ্যে থাকে ১৫০ ক্যালোরি। সুতরাং আপনি যদি ওজন কমাতে চান; তাহলে আম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।




 আমে থাকা ছত্রাক কারও কারও শরীরে প্রবেশ করলে জ্বরে কারণ হতে পারে। আমবাত বা ছত্রাকজনিত একটি ত্বকের রোগ, যা ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং ত্বকের লালচেভাব সৃষ্টি করে। এই সমস্যাটি নির্দিষ্ট খাবার, স্ট্রেস বা ওষুধের কারণে হয়ে থাকে।


একাধিক গবেষণা অনুসারে, আম শরীরের উত্তাপ অনেক বাড়িয়ে তোলে। তাই গরমে অত্যাধিক আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।


আয়ুর্বেদের মতে, আম কখনই দুধের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এটি বদহজম, ডায়রিয়াসহ পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।


 বাতজনিত মস্যায় যারা ভুগছেন; সেসব রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে আম খেতে পারবেন। অতিরিক্ত খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।


 আম খাওয়ার পর অনেকেই ‘ম্যাংগো মাউথ’ সমস্যার সম্মুখীন হন। এর ফলে মুখের মধ্যে চুলকানি, ফোলাভাব এবং মুখের চারপাশে ফোসকা, ঠোঁট এবং জিহ্বায় জ্বালা-পোড়াভাব হতে পারে।

No comments