যদি আপনার শিশুটিও দুর্বল হয় তবে তার ডায়েটের প্রতি মনোযোগ দেওয়া আপনার দায়িত্ব, কারণ শিশুরা সাধারণত খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে খুব অবহেলায় থাকে। এই অসতর্কতা সরাসরি তাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়া করার বিশেষ যত্ন নেওয়া বাচ্চাদের মা-বাবার দায়িত্ব। যাতে সে সুস্থ ও সুস্থ থাকে।
ডায়েট বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিংয়ের মতে, শিশুদের প্রতিদিন সুষম পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, চর্বি এবং প্রোটিন গ্রহণ করা উচিৎ। এটি তাদের শারীরিক বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। রঞ্জনা সিং বলেছেন যে আপনার শিশু যদি দুর্বল হয় তবে আপনাকে অবশ্যই তার ডায়েটে ঘি, মাখন, ডাল, দুধ, কলা, মিষ্টি আলু এবং সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
এই জিনিসগুলি বাচ্চাদের খাওয়ান :
ডালের ব্যবহার :
ডাঃ রঞ্জনা সিংহ বলেন যে ডালই প্রোটিনের বৃহত্তম উৎস। মসুর ডালের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও পাওয়া যায়। আপনার শিশু যদি দুর্বল হয়, তবে তার ওজন বাড়ানোর জন্য, তাকে নিয়মিত ডাল জল পান করার জন্য দিন। এ কারণে বাচ্চাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
ঘি বা মাখন :
ঘি এবং মাখন একটি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার। শিশুদের এটি নিয়মিত গ্রাস করা উচিৎ। ঘি এবং মাখন ডাল বা রুটির সাথে যুক্ত করে খাওয়া যেতে পারে।
ক্রিমযুক্ত দুধ উপকারী :
ডঃ রঞ্জনা সিংয়ের মতে ক্রিমযুক্ত দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায় যা বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর জন্য উপকারী প্রমাণ করে। যদি শিশু দুধ পান করতে অস্বীকার করে তবে শেক বা চকোলেট পাউডার মিশিয়ে এটি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
কলা শেক উপকারী :
কলা শক্তির একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি দুর্বল বাচ্চাদের জন্য খুব উপকারী। শিশুকে এর ঝাঁকুনি বা দুধ এবং কলা খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের ওজন বাড়ে।
ডিম ও আলুর সেবন :
ডিম ও আলু দুর্বল শিশুদের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। কারণ ডিমগুলিতে শর্করা প্রচুর পরিমাণে আলু এবং প্রোটিনে পাওয়া যায়। দুর্বল বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর জন্য, তাদের গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবুজ শাকসবজি গ্রহণ :
ডঃ রঞ্জনা সিং বলেছেন যে সবুজ শাকসবজিতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এর বাইরে হজম সিস্টেমকে সুস্থ রাখার ক্ষমতাও তাদের রয়েছে। বাচ্চাদের নিয়মিত ব্রোকলি, আলু, মটর, শাক এবং বাঁধাকপি খাওয়া উচিৎ। এই পদ্ধতিতে বাচ্চা স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টি অর্জন করবে।
No comments