এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত আপনার অবশ্যই এই জাতীয় শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জন সিং এই সবজিগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এপ্রিল থেকে আগস্টের সময় এই সবজিগুলি খাওয়ার পরামর্শের পিছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। আসলে, এই মাসগুলিতে, ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চল তীব্র উত্তাপের শিকার হয়। যার কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়। ডিহাইড্রেশনের সমস্যাটি ছোট বাচ্চাদের এবং নবজাতকের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও অনেক গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। সানস্ট্রোক, কিডনি এবং মূত্রত্যাগের রোগ, খিঁচুনি, রক্তের কম পরিমাণে শক ইত্যাদি সহ তবে, গ্রীষ্মে এই বিশেষ শাকসবজি খেয়ে ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যা থেকে অনেক ত্রাণ পাওয়া যায়।
ডায়েটিশিয়ান ডাঃ রঞ্জনা সিংয়ের মতে গ্রীষ্মের মরশুমে এই উপকারী শাকসবজিগুলি খাওয়া শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে তাই নয় সাথে এগুলি তাপের কারণে শরীরে হওয়া জলের অভাব (ডিহাইড্রেশন ) পূরণও করতে পারে।
১. গ্রীষ্মকালে করলা খাওয়ার উপকারীতা :
করলায় সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি থাকে যা কেবল হজমজনিত রোগই দূর করে না, সাথে ওজন কমাতে সহায়তা করে। করলকয় প্রচুর জল থাকে। কাঁচা করলার রস পান করা শারীরিক শক্তি দেয় এবং শরীরে জলের কোনও অভাব হয় না।
২. গ্রীষ্মের মরশুমে পুদিনা খাওয়ার উপকারীতা :
ডায়েটিশিয়ান ডাঃ রঞ্জনা সিং-এর মতে পুদিনায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। গ্রীষ্মে সানস্ট্রোক এড়াতে পুদিনা খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া পুদিনা পাতা চিবানো মুখের দুর্গন্ধ হ্রাস করে। আপনার যদি পেটে ব্যথা হয় তবে আপনি জিরা, হিং, গোলমরিচ মিশ্রিত পুদিনার রসও পান করতে পারেন। শুধু তাই নয়, পুদিনা ওজন কমাতেও সহায়ক। আপনি জেনে খুশি হবেন যে পুদিনা পাতা এবং জলে লেবু মিশিয়ে পান করা স্থূলত্ব হ্রাস করতে পারে।
৩. গ্রীষ্মে শসা খাওয়ার উপকারীতা :
ভিটামিন-সি এবং বিটা ক্যারোটিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে পুর্ণ শসা খাওয়া তাপ থেকে দেহের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং শসা খেয়ে আমরা সহজেই এগুলি পেতে পারি। ডায়েটিশিয়ান ডাঃ রঞ্জনা সিং বলেছেন যে শসা খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। শসাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে থাকে যা হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত। এ ছাড়া শসা গ্রহণও ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
No comments