Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে লেবেল টা পড়ে নেওয়া কেনো দরকার

প্যাকেটজাত খাবার কি আপনি প্রায়ই কেনেন পছন্দের ফুড স্টোর থেকে? অথবা জ্যাম-জেলি-সস-আচার? তা হলে কিন্তু অতি অবশ্যই খাবার কেনার আগে লেবেল পড়ে নেওয়ার অভ্যেসটা গড়ে তোলা দরকার৷ খাবারের প্যাকেটের লেবেলের মধ্যেই সে সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প…





প্যাকেটজাত খাবার কি আপনি প্রায়ই কেনেন পছন্দের ফুড স্টোর থেকে? অথবা জ্যাম-জেলি-সস-আচার? তা হলে কিন্তু অতি অবশ্যই খাবার কেনার আগে লেবেল পড়ে নেওয়ার অভ্যেসটা গড়ে তোলা দরকার৷ খাবারের প্যাকেটের লেবেলের মধ্যেই সে সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দিতে বাধ্য নির্মাণকারীরা৷ আর সেটা পড়ে ক্রেতার বুঝে যাওয়া উচিত যে খাবারটি তিনি কিনছেন, তার মধ্যে কোন কোন উপাদান রয়েছে এবং তা থেকে তিনি ঠিক কতটা ক্যালোরি বা পুষ্টিগুণ পাচ্ছেন৷ আপনার কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেটা এড়িয়ে যেতেও পারেন৷ শুধু ব্র্যান্ডের নাম, এক্সপায়ারি ডেট, আর দাম দেখেই যদি আপনার খাদ্যবস্তু কেনার অভেস থাকে, তা হলে এতদিন ভুল করেছেন, আর না জেনেই হয়তো তার মাশুল দিয়েছে আপনার শরীর৷ এবার আর দেরি না করে চটপট সেটা শুধরে নিন৷ বিশেষ করে যাঁরা বিশেষ কোনও ডায়েট মেনে চলেন, নানা ধরনের খাবার খাওয়ার প্রতি বিধিনিষেধ আছে, তাঁদের তো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লেবেল পড়ে তবেই খাবার কেনা উচিত৷


লেবেল পড়ে কী কী বিষয় জানতে পারেন

ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট লাভনীত বাত্রা বলছেন, ‘‘খাবারের নেট ওজন, সার্ভিংয়ের সাইজ়, ক্যালোরি, চিনি থেকে পাওয়া ক্যালোরি, ফ্যাট থেকে পাওয়া ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, স্টার্চ, প্রোটিন, ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম থেকে পাওয়া ফ্যাটের পরিমাণ প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকা উচিত৷’’ যদি দেখেন যে প্যাকেটে যা লেখা আছে, তার অর্থ আপনি মোটেই বুঝতে পারছেন না, বা এত খুদে খুদে অক্ষরে তা লেখা হয়েছে যে পড়ে ফেলা দুঃসাধ্য, তা হলে কিন্তু সেটিকে একটু সন্দেহের দৃষ্টিতেই দেখা উচিত৷ সরকারি অনুমোদন না থাকলে সামান্য মাত্রায় কোনও উপাদানও খাবারে ব্যবহার করা যায় না এবং তৈরির সময় যা যা ব্যবহার হচ্ছে, তার পূর্ণ তথ্যপঞ্জি প্যাকেটের গায়ে থাকা আবশ্যক৷ যে সব প্যাকেটের গায়ে উপাদানের দীর্ঘ তালিকা থাকে এবং তার মধ্যে অনেকগুলিরই মর্মোদ্ধার সম্ভব না হয়, সেগুলি সম্পর্কে সতর্ক হোন৷ সম্ভবত এগুলির মধ্যে রাসায়নিক ও প্রিজ়ারভেটিভের মাত্রা বেশি৷ যে সমস্ত প্রডাক্টে উপাদানের সংখ্যা কম, সেগুলি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে গণ্য করা যেতে পারে৷


প্যাকেটে ব্যবহৃত ‘টার্ম’ পড়ে আপনি কী বুঝবেন:


অ্যাডেড ফ্লেভার অ্যান্ড প্রিজ়ারভেটিভস: সরবিক অ্যাসিড, প্রোপায়োনিক অ্যাসিড, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, বিএইচএ-র মতো রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে খাবারটিতে৷


জ়িরো ফ্যাট: এর মানে হচ্ছে এই বিশেষ খাবারের প্রতিটি সার্ভিংয়ে ০.৫ গ্রামের বেশি ফ্যাট নেই৷


লো ফ্যাট: প্রতিটি সার্ভিংয়ে ৩ গ্রামের বেশি ফ্যাট নেই, মনে রাখবেন ফ্যাট কম মানেই কিন্তু খাবারটি কম ক্যালোরিযুক্ত নয়৷


নো অ্যাডেড সুগার: চিনিমুক্ত নয়, তবে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার হয়নি৷ ধরুন খাবারটিতে যদি ফল বা ফলের নির্যাস থাকে, তা হলে ফ্রুকটোজ় থাকবে৷


জ়িরো কোলেস্টেরল: ২০ মিগ্রা-র কম কোলেস্টেরল আছে খাবারটিতে৷


লো ক্যালোরি: প্রতিটি সার্ভিংয়ে ক্যালোরির মাত্রা ৪০-এর কম৷

No comments