Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ছেলে ও মেয়ে একসাথে ব্যায়াম করলে কি বাড়তি কোনও সুবিধে হয় জেনে নিন

বলিউডের ছোট-বড়ো-মেজো সব তারকাই অত্যন্ত ফিটনেস সচেতন, তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীরাও কিছু কম যান না। করিনা কাপুর আর সেফ আলি খান একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেন। স্ত্রী মীরা রাজপুত কাপুরের ফিটনেস চার্টে সদাসতর্ক নজর রাখেন শাহিদ কাপুর।  বিপাশা …






বলিউডের ছোট-বড়ো-মেজো সব তারকাই অত্যন্ত ফিটনেস সচেতন, তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীরাও কিছু কম যান না। করিনা কাপুর আর সেফ আলি খান একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেন। স্ত্রী মীরা রাজপুত কাপুরের ফিটনেস চার্টে সদাসতর্ক নজর রাখেন শাহিদ কাপুর।  বিপাশা বসু আর করণ সিং গ্রোভার, কৃতি স্যানন আর সুশান্ত সিং রাজপুতকেও একইসঙ্গে ঘাম ঝরাতে দেখা যায়। অনুষ্কা শর্মা আর বিরাট কোহলিও নাকি তাঁদের সদ্য পাতা সংসারে মজুত রেখেছেন শরীরচর্চার ও শরীরে মেদের পরিমাণ মেপে নেওয়ার নানা সরঞ্জাম।


কেন এমনটা করেন তাঁরা? অনেক ফিটনেস বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে দীর্ঘ সময় ধরে যাঁদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে হয়, তাঁরা যদি নিজেদের স্ত্রী বা স্বামীকেও দলে টেনে নেন, তা হলে খুব সুবিধে হয়। তাতে একদিকে যেমন মোটিভেশন পাওয়া যায়, তেমনই আবার খাওয়াদাওয়ার বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতেও সুবিধে হয়। পাঁচতারা হোটেল ‘দ্য ওয়েস্টইন কলকাতা, রাজারহাট’-এর জিম ‘দ্য ওয়েস্টইন ওয়ার্কআউট ফিটনেস স্টুডিয়ো’-র সঙ্গে যুক্ত ফিটনেস এক্সপার্ট টুটান সরকার বলছেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরের সঙ্গে ব্যায়াম করতে পারেন বা ফিট হওয়ার লক্ষ্য স্থির করে নেন, তা হলে তাঁদের মধ্যে যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাটা দেখা যায়, তাতে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস বাড়ে, একজনকে ভালো করতে দেখে অন্যজন নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তাতে ক্লাস কামাই করার বাহানা তো খুঁজবেনই না, উলটে অপেক্ষায় থাকবেন এই ধরনের সেশনের জন্য।’’


আজকাল খুব সামান্য কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়, সারাদিন পরস্পরকে সময় দিতে না পারার কারণে আলাদা হয়ে যান বহু দম্পতি। ভেঙে যায় বিশ্বাস, ছোট-খাটো নানা কারণে ঝগড়া লাগে। এই ধরনের সমস্যা আপনার সম্পর্কেও হচ্ছে কী? তা হলে একবার একসঙ্গে ব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি হয়ে দেখতে পারেন। মনোবিদরা বলেন, তাতে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটে। অনেক ব্যায়াম আছে যেগুলি একে অন্যের শরীরের সাপোর্ট ছাড়া করা যায় না, তাতে ক্রমশ নির্ভরতা বাড়ে। আর ক্রমশ যদি ফিটনেস আপনাদের যৌথ প্যাশনে পরিণত হয়, তা হলে তো আর কথাই নেই!


ব্যায়ামের আরও কতগুলো পজ়িটিভ দিক আছে। সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ আপনাদের মধ্যেকার আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসতে আরম্ভ করবে। আর একবার নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে আরম্ভ করলে কমতে আরম্ভ করবে বিরক্তি আর হিংসার বোধ। দুটোই আপনার সম্পর্ককে আরও উন্নত করে তুলতে সাহায্য করবে। তবে কেবল ভিডিয়ো দেখে এই ধরনের ব্যায়াম করতে যাবেন না, তাতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, ট্রেনারের পরামর্শ মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে৷ আর যাঁরা সিঙ্গল, তাঁরা প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবীটিকে দলে টানুন, তাতে মোটিভেশনের অভাব হবে না কখনও৷

No comments