রুক্মিণীর মতো আপনিও কি ছিপছিপে লম্বা, একহারা চেহারার মালিক? তা হলে সান্ধ্য অনুষ্ঠানে স্বচ্ছন্দে গাউন পরতে পারেন, দেখতে দুর্দান্ত গ্ল্যামারাস লাগবে৷ যাঁরা ততটা লম্বা নন, তাঁরা হিলের সাহায্য নিতে পারেন৷
একেবারে আনকোরা হিলটি পরে অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কিন্তু ভুল করবেন৷ মূল অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে হাই হিল পরে হাঁটাহাঁটি করে নিন, অভ্যেস হয়ে গেলে হাঁটতে আর তেমন কোনও অসুবিধে হবে না৷ আর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হচ্ছে, হাই হিল সব সময় খুব ভালো ব্র্যান্ড থেকে কেনা উচিত৷ প্রশ্ন করবেন, কেন? নামজাদা ও দীর্ঘদিনের পুরনো ব্র্যান্ডগুলি হাই হিল নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যায়৷ চেষ্টা করা হয় জুতোগুলিকে যথাসম্ভব আরামদায়ক করে তোলার৷ তাই দাম একটু বেশি পড়লেও আপনার পয়সাটা বৃথা যাবে না৷
রুক্মিণী যে গাউনটি পরেছেন, তার পোশাকি নাম মারমেড গাউন৷ মৎস্যকন্যাদের যেমন শরীরের নিচের দিকে ছড়ানো লেজ থাকে, ঠিক তেমনভাবেই এই গাউনের নিচের দিকটাও ছড়িয়ে থাকে ফুলের মতো। ঘন নীল রঙের গাউনের একদিক থেকে নেমে এসেছে হাত আয়না আর রাজমুকুটের নকশা, কোমরের কাছে রয়েছে পেপলাম ফ্লেয়ার। এমন ডিজ়াইন তো চট করে চোখে পড়ে না, তাই না? মারমেড গাউন কোমরের পর থেকে সরু হয়ে আসে, তাতে পায়ের দিকের ফ্লেয়ারটা বেশি ভালো করে চোখে পড়ে। তবে এই ধরনের পোশাক পরে হাঁটবেন অতি সাবধানে, হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি কারণ অনেকটা ফ্যাব্রিক পায়ের কাছে ছড়িয়ে থাকে।
পোশাক খুব আকর্ষক হলে অ্যাকসেসরিজ় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলেও চলে। যেহেতু গাউনটা ওয়ান শোল্ডারড, তাই রুক্মিণীর কানের লম্বা দুলটা আলাদা করে নজর কাড়ছে। তাঁর সাইড পার্টিং করা স্ট্রেট চুলও এই ধরনের লুকের সঙ্গে খুব মানানসই হয়েছে। মেকআপের ক্ষেত্রে তিনি জোর দিয়েছেন ইলিউমিনেটিং বেসের উপর। সেই সঙ্গে ব্লাশ অন ও লিপস্টিকে গোলাপি শেডের ব্যবহার লুকটাকে খুব সফট, মিষ্টি করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি করে নজর কাড়ছে তাঁর হাজার ওয়াটের হাসিটা... টলি টাউনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নতুন তারার তো ঝলমল করারই কথা!
No comments