যৌনতা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। কৌতূহল তো অবশ্যই থাকে। কিন্তু সেক্স নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা কবে করেছিলেন মনে আছে? আসলে এটা এমনই একচা বিষয়, যা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের মধ্যে অনেক রকম আড়ষ্টতা কাজ করে। সেক্স আর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গেলে সকলেই চলে যান মাস্টারবেশন, লিবিডো, পেনফুল সেক্স, ভার্জিনিটি এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই থাকে পর্নোগ্রাফি। এবং সেই সঙ্গে লোকজন নিজের সেক্স লাইফ কেমন হবে তা না ভেবে ভাবতে বসে অন্যজনের যৌন জীবন এবং তাদের যৌনতা সংক্রান্ত ফ্যান্টাসি। সেখান থেকেই সেক্স সম্বন্ধে তাদের মনে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণার উদয় হয় এবং সেখান থেকে মেয়েরা বেশিরভাগ সময় সেক্স নিয়ে যা যা প্রশ্ন করে বাস্তবে তা চূড়ান্ত অবাস্তব।
এমন ধারণা যে সবাই আমার থেকে বেশিবার সেক্স করেছে :
সেক্সোলজিস্ট তনয়া কোয়েন্স যেমন জানান, সব মেয়েরা মনে করে সেক্স সম্পর্কিত আলোচনা মোটেই নিজের যৌন জীবনে সাহায্য করে না। তবে তাঁর মতে যখন লোকজন ভাবে, আমার বন্ধু,বান্ধবী আমার থেকে বেশি সেক্স করছে, তার মানে দাঁড়ায় যারা বলছেন তাঁর যৌনজীবন বেশ ভালোই চলছে। এছাড়াও মেয়েরা হিসেব করতে বসেন দিনের মধ্যে কতবার যৌন মিলন করলেন, যা ঠিক নয়। কারণ এতে মনের উপর অন্য প্রভাব পড়ে।
যে মেয়েদের ধারণা তার যৌনতাড়না কম হয় :
অনেক মেয়েই মনে করেন তাঁর মধ্যে কোনও কাম নেই। এদিকে মনে ইচ্ছে ষোলো আনা। তাঁরা কিন্তু যৌনতা নিয়ে কথা বলতে বেশি ভালোবাসেন। এবং সেক্স সংক্রান্ত প্রচুর রকম ইচ্ছের কথা নিজের অজান্তেই বলে ফেলেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তানিয়া জানান, একবার এক দম্পতি তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন তাঁদের মধ্যে সঠিক যৌন মিলন হচ্ছে না। আরও বেশি চান। তখন তিনি জিগ্গেস করেন তাঁদের কি খামতি মনে হচ্ছে, পরে তিনি কথা বলে বোঝেন ওই দম্পতি বাকিদের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে আনছিলেন। কিন্তু বছরে একবার যৌনমিলনেই তাঁরা খুশি।
সঙ্গীর জানা উচিৎ সে কি পছন্দ করে :
এই ভাবনা অনেকের মধ্যেই থাকে। অনেকই ভাবেন প্রেমিক যখন তখন আমার ইচ্ছে নিশ্চয় বুঝবে। সেই মতো মেয়েরা নিজে অনেক কিছু কল্পনা করে রাখেন। কিন্তু বাস্তবে কোনও ছেলের পক্ষেই এভাবে মন পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। কিছু কিছু হয়তো হয়। কিন্তু সবটা কখনই হয় না। আর এতে যৌন জীবন কখনও সুখের হয় না। সমস্যা আসতে বাধ্য। কারণ সেক্স করার সময় দুজন মানুষের কথোপকথন খুব জরুরি। সেটা না হলেই ব্রেক আপ হতে বাধ্য।
যারা যৌনতাকে আনন্দদায়ক মনে করে না :
এমন প্রচুর মেয়ে থাকেন যাঁরা অন্য সময় প্রেমিকের সঙ্গে দেখা না হওয়ার জন্য আক্ষেপ করেন। অপেক্ষা করেন কবে দেখা হবে। প্রচুর পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু দেখা হলে নিজেরা এতই ক্লান্ত থাকেন যে তখন সেক্সটা শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে করেন। অনেকেই বলেছেন অর্গ্যাজমের কোনও ব্যাপার থাকে না। ফলে তখন যৌন মিলন তাঁদের কাছে আর আনন্দদায়ক মনে হয় না। আর তাই বিশেষজ্ঞের মতে দুজনের মধ্যে ভালো যোগাযোগ থাকা জরুরি। এছাড়াও সে সময় নিজেদের মধ্যে ভালো করে কথা বলুন। প্রেম বাড়লে তবেই সেক্স বাড়বে।
সঙ্গীর সঙ্গে সেক্স নিয়ে আলোচনা করুন
প্রেমের কথা নিয়ে যা আলোচনা করেন সেই সঙ্গে সেক্স নিয়েও আলোচনা করুন। সেক্স নিয়ে মজার জোক, নিজেদের ভাবনা, এবং নিজেদের ইচ্ছের কথা বলুন। মাঝেমধ্যে সেক্স চ্যাট করুন। এখন সবার জীবনেই কাজের চাপ খুব বেশি। যেখান থেকে মানসিক অবসাদ আসতে বাধ্য। সঙ্গী দূরে থাকলে সেই ছাপ সম্পর্কেও পড়ে। তাই দিনের মধ্যে কিছু সময় বের করে নিয়ে অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। কিংবা কাজের ফাঁকেও বলতে পারেন।
No comments