উত্তর প্রদেশের আড়াইয়া জেলায় পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে। শিব মন্দির থেকে নন্দীর প্রতিমা চুরি করে নিয়ে যাওয়া চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং প্রতিমাটিও উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে দেখা গেছে, কুসংস্কারের কারণে নন্দীর প্রতিমা চুরি হয়েছিল। গ্রামের এক মহিলা জানালেন যে, ধনটি নন্দী ঈশ্বরের প্রতিমার নীচে লুকিয়ে রয়েছে, তারপরে চোররা প্রতিমাটি চুরি করে নিয়ে যায়।
পুলিশ
গত বছরের ডিসেম্বরে আয়না থানা এলাকার ভারবত পুরের প্রাচীন শিব মন্দির থেকে মূল্যবান নন্দী ঈশ্বরের প্রতিমা চুরি করে নিয়ে যাওয়া এই চক্রের চার সদস্যকে পুলিশ অনুসন্ধান করেছিল। এসওজি দলের পাশাপাশি বিভিন্ন পুলিশ দলও এই দলটিকে ধরার জন্য কাজ করছিল। গ্রেপ্তার হওয়া চোরদের মধ্যে তিন জালাউনের এবং একজন ঝাঁসির।
অদূরে যে নন্দীর মূর্তিটি ছিল তা আয়না থানা এলাকার বড়বত পুরের কয়েকশ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির। কিছু লোক এখানে এসেছিল। মন্দিরে আসা লোকেরা পুরোহিতকে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে বললেন এবং চলে গেলেন। সকালে পুরোহিত পূজা করতে এসে দেখলেন ঈশ্বরের মন্দির থেকে নন্দীর প্রতিমা নিখোঁজ রয়েছে। পুরোহিত এই তথ্য গ্রামের মানুষ এবং পুলিশকে দিয়েছেন। পুলিশ ফরেনসিক এবং ডগ স্কোয়াডের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করেছে।
খবরদাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশের জন্য এসওজি ও আয়না পুলিশের দুটি দল গঠন করা হয়েছিল। এই দলগুলি চোরদের ধরতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই সময়, খবরদাতাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে, যারা নন্দীর প্রতিমা চুরি করেন তাদের গ্রামের যে কোনও ব্যক্তির সাথে সমান যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশ গুরুতরতা দেখিয়ে নজরদারি করার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করলে পুরো বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মর্মান্তিক প্রকাশ,
পুলিশ এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ যখন ধরা পড়া লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, তখন হতবাক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। আসামিরা পুলিশকে জানায়, গ্রামের এক মহিলাকে জানিয়েছিল যে অনেক ধন মন্দিরে ঈশ্বরের নন্দীর প্রতিমার নীচে লুকানো আছে। যার পরে এই লোকেরা মন্দির থেকে পরিকল্পনা করে নন্দীর প্রতিমা চুরি করে নিয়ে যায়।
No comments