মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার ১৫ বছরের এক কিশোরী ঋতুতুস্রাব শুরু না হওয়ার জন্য পুনেতে এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। মেডিকেল টেস্টের পরে দেখা গেল, মেয়েটির ক্রোমোসোমে কিছু সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁর মধ্যে একটি বিরল অবস্থা পেয়েছিলেন যার নাম "অ্যান্ড্রোজেন ইনসেন্সিটিভিটি সিন্ড্রোম" (এআইএস)। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যমটি জেনেটিকভাবে পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে তবে তাঁর শরীরে মহিলার শারীরিক বৈশিষ্ট্য থাকে।
এখন বিষয়টি জানার পরে, মেয়েটি এবং তার বাবা-মা সারা জীবনের জন্য তাদের সন্তানের 'মেয়ে' পরিচয় বজায় রাখতে চায়. স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এন্ডোস্কোপিক সার্জন ডাঃ মনীষ মাচাভে এই মেয়েটির রোগ নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “এতে আংশিক এআইএস রোগ নির্ণয় হয়েছে। অ্যান্ড্রোজেন একটি পুরুষ যৌন হরমোন। এআইএস আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে শরীর পুরুষ হরমোনগুলির প্রতি সংবেদনশীল হয়। এআইএস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে আংশিক ভাবে পুরিষ এবং মহিলার সমন্বিত বৈশিষ্ট্য থাকে। এই মামলায়, তার স্তনের বিকাশ হয় নি, যোনির বিকাশ অস্বাভাবিক এবং কোনও জরায়ু ও ডিম্বাশয় নেই।"
এখন হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি দল তাকে মহিলা পরিচয় দিয়ে বাঁচতে সহায়তা করছে। সম্প্রতি, তাঁর শুক্রাশয় অপসারণের জন্য ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি এবং স্তনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন যা পুরুষ লক্ষণগুলির বিকাশকে বাধা দেবে।
চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে ১৮ বছর বয়সে তার ল্যাপারোস্কোপিক ভেজিনোপ্লাস্টি কর হবে। অস্ত্রোপচারের পরে তিনি একজন মহিলা হিসাবে সাধারণ জীবনযাপন করতে সক্ষম হবেন। তবে জরায়ু বা ডিম্বাশয় নেই বলে গর্ভধারণ করতে পারবেন না।
এআইএস একটি জিনগতভাবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অবস্থা। তবে চিকিৎসা সাহিত্যে এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে এক লাখ জনসংখ্যায় প্রায় চারজন মানুষ এতে আক্রান্ত হন। কিন্তু কলঙ্ক এবং অন্যান্য সামাজিক কারণে খুব কম লোকই চিকিৎসা সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।
No comments