মহিলাদের ঈশ্বরের সবচেয়ে সুন্দর কাজ বলা হয়। একজন মহিলা কেবল চেহারাতেই নয়, মন থেকেও খুব সুন্দরী। নারীর সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে। একজন মহিলার সৌন্দর্য প্রতিফলিত হয় যখন তিনি প্রকাশ্যে হাসেন। লিপস্টিক সেই হাসি সুন্দর করার জন্য কাজ করে। অনেক মহিলা তাদের ঠোঁট নিয়ে চিন্তিত। প্রায়শই মহিলারা অভিযোগ করেন যে তাদের ঠোঁট খুব পাতলা এবং এর কারণে তারা আকর্ষণীয় দেখায় না।
আপনার যদি পাতলা ঠোঁটে সমস্যা হয় তবে চিন্তার কিছু নেই। আজ আমরা আপনার জন্য লিপস্টিক প্রয়োগের জন্য কিছু টিপস নিয়ে এসেছি, যা আপনার ঠোঁটকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখায়।
পদক্ষেপ ১ -
লিপস্টিক লাগানোর আগে আপনার অবশ্যই জানতে হবে আপনার ঠোঁটের আকার কত? প্রথমত, আপনার শীর্ষ এবং নীচের ঠোঁটের কোনটি সরু তা জেনে নিন। এটি বের করার পরে আপনি ঠোঁটে লিপ কন্ডিশনার বা লিপ প্রাইমার লাগান। এটি করে আপনি একটি খুব মৃদু এবং এমনকি বেস পাবেন। এখন ঠোঁটের পেনসিলের সাহায্যে আপনার ঠোঁটের বাইরের রেখাটি হাইলাইট করুন। ঠোঁট পেন্সিল ব্যবহার আপনার ঠোঁট আরও বড় দেখায়। এটি ব্যবহার করার আগে, নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার পেন্সিলের ডগাটি নির্দেশ করা উচিৎ।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ -
প্রথমে আপনার কামিডের ধনুক দিয়ে শুরু করুন, তারপরে ঠোঁটের প্রান্তে আস্তরণ করুন, ঠোঁটের ডগায় এসে। ঠোঁটে একটি প্রাকৃতিক চেহারা দিতে, হালকা হাতে এই লাইনগুলি তৈরি করুন।
তৃতীয় পদক্ষেপ -
একবার শীর্ষ ঠোঁট রেখাযুক্ত হয়ে গেলে আপনি নীচের ঠোঁটে আস্তরণ শুরু করতে পারেন। রূপরেখা তৈরি করার সময়, ছোট লাইনগুলি তৈরি করুন এবং সেগুলিতে যোগদান করুন, এটি করার ফলে ঠোঁটের আস্তরণটি নিখুঁত হয়। উপরের এবং নীচের ঠোঁটগুলি রেখাযুক্ত হয়ে গেলে, তখন পেন্সিল দিয়ে ঠোঁট আঁকুন। এটি করে আপনার লিপস্টিকটি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
চতুর্থ ধাপ -
লিপস্টিক লাগানোর সময় ঠোঁটের ব্রাশ ব্যবহার করা সঠিক বলে বিবেচিত হয়। একবার আপনার ঠোঁট রঙিন হয়ে গেলে সেগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিন। অবশেষে, আপনার ঠোঁটের প্রান্তে কনসিলার ব্যবহার করুন, এটি আপনার ঠোঁটকে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর দেখায়।
শেষ পদক্ষেপ -
অবশেষে ঠোঁটের গ্লসের সাহায্যে আপনার ঠোঁটে একটি সম্পূর্ণ চেহারা দিন। এটি করে আপনার ঠোঁট নরম এবং ঘন অনুভূত হয়।
No comments