করোনার সময়কালে সুস্থ থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটির জন্ম খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। যেখানে শীতকালে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা জরুরি। এজন্য ভিটামিন-সি যুক্ত ডায়েট গ্রহণ করা উচিৎ। আপনি যদি করোনার সময়কালে বায়ু দূষণ এড়াতে চান তবে অবশ্যই আপনার ডায়েটে আমলা অন্তর্ভুক্ত করুন। আমলকি বলা হয় এবং একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরণের রোগ এড়াতে পারবেন। সাইট্রাস ফল খাওয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে এবং বায়ু দূষণজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আসুন কখন এবং কত পরিমাণে আমলকি খাওয়া উচিৎ তা জেনে নেওয়া যাক-
আমলকির রস, আচার এবং ক্যান্ডি সাধারণত সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে আমলকি পুষ্পিত হয়। শীতের দিনগুলিতে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে আমলকির কুঁচি খাওয়া মুখের সৌন্দর্য রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এর ব্যবহার সর্দি কাশিতে স্বস্তি দেয়। আমলকি ক্রমাগত সেবন করায় সর্দি কাশি হয় না।
শীতের সময় বায়ু দূষণ হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। একই সাথে, আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমলকি খাওয়া হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভার সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আমলকি খাবেন কীভাবে
আপনি আমলকির সস, জ্যাম, আচার ইত্যাদি নিতে পারেন এটির সাহায্যে আপনি আমলকির রসও পান করতে পারেন। আপনি যদি নিজের পরীক্ষা চিবিয়ে খেতে চান তবে লবণ দিয়ে আমলাও খেতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খাওয়া উচিৎ। দিনে ২ টির বেশি আমলকি খাবেন না।
No comments